দুবাই: শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়ার কথা ছিল সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া এশিয়া কাপ। কিন্তু সে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির জন্য পরবর্তীতে তা বদলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে করা হয়। গতকাল ফাইনালে পাকিস্তানকে (Pakistan Cricket) হারিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা (Srilanka Cricket)। আবার এই টুর্নামেন্টেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (International Cricket) মঞ্চে প্রায় ১০২১ দিন পর শতরানের মুখ দেখেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। নজর কেড়েছেন পাক তরুণ পেসার নাসিম শাহ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের এশিয়া কাপ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কী কী পেল-


বিরাট কোহলির শতরান


২০১৯ সালে নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্ট সেঞ্চুরি। এরপর থেকে ১০২১ দিনের লম্বা সময় কোনও সেঞ্চুরি ছিল না। শেষ পর্যন্ত জ্বলে উঠল কিং কোহলির ব্যাট। এশিয়া কাপে দল ফাইনালে পৌঁছতে না পারলেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে অপরাজিত শতরান হাঁকিয়েছেন তিনি। ১২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস সেদিন খেলেছিলেন বিরাট। এশিয়া কাপে এবার ৯২ গড়ে মোট ২৭৬ রান করেছেন। 


চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা


টুর্নামেন্টের শুরুতেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার। ক্রিকেট পণ্ডিতরা সুপার ফোরের দাবিদার হিসেবেই ধরেনি শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু দাসুন শনাকার দল সবাইকে ভুল প্রমাণ করে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন দাসুন শনাকারা। বিধ্বস্ত রোজনামচায় ফিরল সাময়িক স্বস্তি। ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া সেরার মুকুট ছিনিয়ে নিল শ্রীলঙ্কা। ফেভারিট হিসাবে ফাইনালে নামলেও বাবর আজমদের জন্য বরাদ্দ রইল শুধুই হতাশা। শ্রীলঙ্কার ১৭০/৬ তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রানে অল আউট পাকিস্তান।


দুরন্ত নাসিম শাহ


এশিয়া কাপের শুরুতেই চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদি। কিন্তু তাঁর অভাব একেবারেই টের পেতে দেননি তরুণ পেসার নাসিম শাহ। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ১৯ বছরের এই তরুণ পেসার ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ওভারে ২টো ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন 


আফগানদের উত্থান


সুপার ফোরে পৌঁছে আফগানিস্তান দল স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল তাঁরা ফাইনাল খেলবে। কিন্তু একটি ওভার তাদের সেই স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়। কিন্তু এবারের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে অল আউট করে দিয়েছিল আফগানরা। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় মহম্মদ নবির দল। ২০১৭ সালে টেস্ট দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান ক্রিকেট প্রতিনিয়ত উন্নতি করে চলেছে। বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানকে কঠিন লড়াইয়ের মধ্য়ে ফেলেছিলেন রশিদরা। 


আরও পড়ুন: শনাকাদের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকা হাতে ছবি তুললেন গম্ভীর