নয়াদিল্লি: ডোপ টেস্টে ধরা পড়লেন ভারতীয় দলের গোলকিপার সুব্রত পাল। গত ১৮ মার্চ ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা খেলোয়াড়দের র্যান্ডাম ডোপ টেস্টে করেছিল। সেখানে সুব্রত পালের স্যাম্পেল এ টেস্টে পজেটিভ ধরা পড়ে। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ায় হতবাক সুব্রত পাল। আজ তিনি বলেন, খেলোয়াড় জীবনে আমি সেরাটা দিয়েছি। কখনও নিষিদ্ধ কিছু করিনি। কেন আমি ডোপ নিতে যাব? আমি চোরা কারবার করছি না। তবে এই টেস্টের পর আবার নাডার কাছে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে সুব্রত পালের। সেক্ষেত্রে তাঁর স্যাম্পেল বি টেস্ট করা হবে। কিন্তু সেই টেস্টের রিপোর্টও পজেটিভ হলে নাডার নিয়ম অনুসারে ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত হতে পারেন তিনি।

সুব্রতর ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কুশল দাস বলেছেন, মুম্বইয়ে ভারতীয় দল যখন মুম্বইয়ে জাতীয় শিবিরে ছিল তখন এই ডোপ পরীক্ষা হয়। শিবিরের সমস্ত খেলোয়াড়েরই ডোপ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

কুশল দাস বলেছেন, সুব্রতর ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত। সুব্রতর মতো মানের একজন খেলোয়াড় যে ডোপ টেস্টে ধরা পড়বেন, তা কখনও ভাবতেও পারেননি তিনি।

ওয়াডা-র নিয়ম অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও ফেডারেশনকে জানাতে হয়। সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের স্যাম্পেল বি পরীক্ষার অনুরোধ জানানোর অধিকার রয়েছে। বি স্যাম্পেল পরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত সাময়িক সাসপেনশনে থাকতে হয় ওই প্লেয়ারকে।