বেঙ্গালুরু: গতকালই ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এদিন সেই ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে বিশাল স্কোর বোর্ডে তুলে নিল বাংলা। দ্বিতীয় দিনে বাংলার নায়ক বলা যেতে পারে অনুষ্টুপ মজুমদার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ নম্বর শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন বাংলা ক্রিকেটের ক্রাইসিস ম্যান। অর্ধশতরান হাঁকালেন অভিষেক রমন ও মনোজ তিওয়ারি, অভিষেক পোড়েলও। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৫৭৭ রান তুলে নিল বাংলা। 


আগের দিন ১ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল বাংলা শিবির। একমাত্র অভিমন্যু ঈশ্বরণের উইকেট হারিয়েছিল তারা। ক্রিজে ছিলেন শতরানকারী সুদীপ ঘরামি ও অনুষ্টুপ মজুমদার। প্রথম জন গতকালই রঞ্জিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। আজ হয়ত দ্বিশতরানও চলে আসত। কিন্তু ১৪ রান দূরেই থেমে যেতে হয় সুদীপকে। এদিন দিনের শুরুতেই প্রথমে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯৪ বলে ১১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অনুষ্টুপ। গতকাল চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া অভিষেক রমন এদিন ব্যাট করতে নেমেছিলেন অনুষ্টুপ ফিরে যাওয়ার পর। তিনিও অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৬১ রান করে আউট হন তিনি।


তবে একদিকে উইকেট পড়তে থাকলেও সুদীপ আগের দিন ঠিক যেখানে খেলা শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই খেলা শুরু করেন। একের পর এক দর্শনীয় শট। শেষ পর্যন্ত ৩৮০ বলে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। যদিও সুদীপের আউট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। আদৌ সুদীপের ব্য়াটের কানায় বল লেগেছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল সবারই। রিভিউ নেওয়ার নিয়ম রঞ্জিতে নেই, তাই কিছুটা হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় সুদীপকে। অভিজ্ঞ মনােজ তিওয়ারি ও অভিষেক পোড়েল এরপর জুটি বেঁধেছিলেন। দু জনেই অর্ধশতরান পূরণ করেন। অভিষেক ৬৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও, মনোজ ৫৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। ৭ রান করে ক্রিজে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদও।


আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের বিশেষ ক্লাসে অনুগত ছাত্র উমরান