নেপিয়ার: ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে চলতি সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচ গতকাল বিকেলের পড়ন্ত রোদের জন্য আধ ঘন্টার জন্য ব্যাহত হয়। অস্তগামী সূর্যের আলো খেলোয়াড়দের চোখে এলে পড়ায় খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ব্যবহার করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিও। খারাপ ক্রিকেটে এই ঘটনাকে বলা হয়, সান-স্ট্রাইক। সচরাচর খারাপ আলো বা বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকে।কিন্তু এভাবে রোদের জন্য খেলা বন্ধ থাকার ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নজিরবিহীন। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করলেন নেপিয়ারের মেয়র বিল ডাল্টন। তিনি বললেন, একটু-আধটু সূর্যের আলো চোখে লাগার বিষয়টি মানিয়ে নিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের যথেষ্ট দৃঢ় হওয়া দরকার। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, একই ঘটনা ভারতে ঘটলে কি ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়তেন।
নেপিয়ারের মেয়র বলেছেন, ওঁরা সবাই স্পোর্টসম্যান। আউট ডোর গেম খেলেন তাঁরা। চোখে একটু আধটু রোদ লাগা তো খেলারই অঙ্গ। তাঁদের আরও শক্তপোক্ত হওয়া প্রয়োজন। ওই ঘটনা তাঁকে আশ্চর্য করেছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মুখপাত্র রিচার্ড বুক বলেছেন, দেখার ক্ষেত্রে সমস্যার তাত্ক্ষণিক সমাধান ছিল না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হবে এবং পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।
গতকালের ম্যাচে ভারত ৮ উইকেটে জিতেছে। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ম্যাচ ব্যাহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, এ ধরনের অভিজ্ঞতা তাঁর আগে কখনও হয়নি। তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালের সফরে চোখে সূর্য পড়ায় একটি ম্যাচে আউট হয়ে গিয়েছিলাম আমি। তখনও এই নিয়ম চালু হয়নি।
মধ্যাহ্নভোজের পর খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ম্যাচ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আম্পায়ার শন জর্জ।
পুরো ঘটনাটি নিয়ে রসিকতার ছলে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছেন, কী আর করা যাবে! সূর্যকেও সরানো কঠিন, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডকেও সরানো কঠিন। তাই কিছুক্ষণ বসতে হল।
ইংল্যান্ডের মাঠে রোদের জন্য কয়েকবার খেলা বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলি আন্তর্জাতিক কোনওটিই আন্তর্জাতিক ম্যাচে নয়।
১৯৮০-তে মুম্বইতে ভারত ও ইংল্যান্ড টেস্ট একদিন এগিয়ে আনা হয়েছিল সূর্যগ্রহণের কারণে।
সূর্যের কিরণ এড়াতে সাধারণত ক্রিকেট পিচের অবস্থান উত্তর-দক্ষিণে হয়। কিন্তু ম্যাকলিন পার্কের পিচ পূর্ব-পশ্চিমে রয়েছে।