দুবাই: চোটের জন্য মাঠের বাইরে তিনি এই মুহূর্তে। সম্প্রতি অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এরই মধ্যে সুখবর পেলেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। আইসিসির বিচারে টি-টোয়েন্টিতে (T20 Cricket) বছরের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন ডানহাতি এই স্টাইলিস্ট ব্যাটার। টানা দ্বিতীয়বার কুড়ির ফর্ম্য়াটে এই খেতাব জিতে নিলেন সূর্যকুমার। প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি গড় ও দেড়শোর মত স্ট্রাইক রেট নিয়ে ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করেছিলেন।


২০২৩ সালটি টি-টোয়েন্টিতে শুরু করেছিলেন সূর্যকুমার মাত্র ৭ রান দিয়ে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে ৭ রান করেছিলেন। এরপরের ম্য়াচে ৩৬ বলে অপরাজিত ৫১ ও অপরাজিত ১১২ রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে ৪৪ বলে ৬৩ রান করেছিলেন। ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেই সিরিজেই।


গত বছর টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে ১৭ ইনিংস খেলে ৭৩৩ রান করেছিলেন সূর্যকুমার। ১৫৫-র ওপর স্ট্রাইক রেট ছিল। সূর্যকুমারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিকান্দার রাজা, আলপেশ রামজানি ও মার্ক চাপম্যান। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলেন ডানহাতি ব্যাটার। ২০২৩ মরশুমের জন্য আইসিসির এমার্জিং ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। কিউয়ি অলরাউন্ডার টেক্কা দিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গেরাল্ড কোয়েৎজেকে। এছাড়াও তালিকায় ছিলেন শ্রীলঙ্কার পেস বোলার দাসুন মধুশনাকা ও ভারতের তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ২০২৩ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনি মোট ৫৭৮ রান করেছিলে গোটা বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালেও উঠেছিল নিউজিল্যান্ড।


সম্মানিত হলেন শামি, অশ্বিন


সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে গত চার বছরের চারটি পুরস্কার তুলে নিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Aswin), যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) ও শুভমন গিল। পুরুষদের ক্রিকেটে বছরের সেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়া হয়। যার নাম পলি উমরিগড় অ্যাওয়ার্ড। ২০১৯-২০ মরশুমের জন্য যে পুরস্কার পেলেন মহম্মদ শামি। ২০২০-২১ মরশুমের জন্য সেই পুরস্কার পেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২০২১-২২ মরশুমের জন্য পেলেন বুমরা ও গত মরশুমের জন্য পুরস্কার পেলেন গিল।


উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ মরশুমে মোট ৩০ ম্য়াচ খেলে শামি ৭৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। তার মধ্যে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকও রয়েছে। ইকনমি ছিল সাড়ে চারেরও কম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনমে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শামি। যা সেই বছরের তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল। পুরস্কার পাওয়ার পর শামি বলেন, ''আমি অনেকটা সময় চোটের জন্য মাঠের বাইরে। দেশের জার্সিতে খেলাটা আমার কাছে সম্মানের। সবসময় মুহূর্তটা উপভোগ করি। দলের জন্য যখন যেমন প্রয়োজন, সেভাবে খেলতে চাই। নিজেকে উজাড়় করে দিতে চাই।''