ওমান: ফের রেকর্ড গড়লেন শাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নজির গড়লেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। এই ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপে এখন সর্বাধিক উইকেটের মালিক শাকিবই। যদিও তিনি একা নন। পাকিস্তানের শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে যুগ্মভাবে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। 


পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শাকিব। মূলত তাঁর বোলিংয়েই একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটিং লাইন আপ। ২৮ ম্যাচে ৩৯ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শাকিব। তবে শাহিদ আফ্রিদির থেকে ৬ ম্যাচ কম খেলেছেন শাকিব। ইকনমি রেটও আফ্রিদির থেকে ভাল। 


পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে গেল বাংলাদেশ। ৮৪ রানে জয় পেল শাকিব আল হাসানরা। যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলেও পরের ২ ম্যাচে পরপর জিতে টুর্নামেন্টের মূলপর্বে পৌঁছে গেল টাইগাররা। 


এদিন প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। ওপেনিংয়ে নেমে নইম খাতা খুলতে না পারলেও ২৯ রান করেন লিটন দাস। এদিন ব্যাট হাতে রানে ফেরেন শাকিব আল হাসান। ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। নিজের ইনিংসে ৩টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। মুশফিকুর রহিম রান না পেলেও এদিন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৮১ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পাপুয়া নিউ গিনি। লোয়ার অর্ডারে কিপলিন ডোরিগা ছাড়া কেউই দু অঙ্কের ঘোরে পৌঁছোতে পারেননি। পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৯,৩ বলে মাত্র ৯৭ রানে। ব্যাটের পর বল হাতেও কামাল দেখান শাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২টো করে উইকেট পান সইফুদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। ১ উইকেট পান মেহদি হাসান। তবে কোনও উইকেট এদিন পাননি মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন শাকিব আল হাসান।