দুবাই: প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে। মাত্র ৫৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) সর্বকালীন লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ক্রিস গেল-আন্দ্রে রাসেল সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন আপ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ১৪৩/৮ রান।


আর ব্যাট হাতে ক্যারিবিয়ান ইনিংসকে টানলেন এভিন লুইস। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৩৫ বলে ৫৬ রান করলেন তিনি। লুইসের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা।


তবে দক্ষিণ আফ্রিকার আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর এক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন। তিনি ৩৫ বলে খেলে মাত্র ১৬ রান করে আউট হয়ে যান। সিমন্স অনেক বল নষ্ট করার ফলে লুইসের ঝোড়ো ইনিংসের ফায়দা পুরোপুরি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে কায়রন পোলার্ড ২০ বলে ২৬ রান করেন।


দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস ১৭ রানে তিনটি ও কেশব মহারাজ ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট কাগিসো রাবাডা ও আনরিক নোখিয়ার।


গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের প্রথম ম্যাচেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হারতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৭০ বল বাকি থাকতে। একপেশেভাবে। 


মধুর প্রতিশোধ? এর চেয়ে ভাল বিশেষণ আর কী-ই বা হতে পারে? ২০১৬। ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনাল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে অসাধ্য সাধন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের দাপটে এক ওভারে ২০ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল।


তার ৫ বছর পর ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারেরা। মাত্র ৫৫ রানে অল আউট হয়ে যান ক্রিস গেল, আন্দ্রে রাসেলের মতো তারকা ঠাসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আইসিসি-র কোনও পূর্ণ সদস্য দেশের যেটা সর্বনিম্ন স্কোর। মাত্র ৮.২ ওভারে সেই রান তুলে দেয় ইংল্যান্ড। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে।