গাব্বা: কাজে দিল না সন উইলিয়ামসের (Sean Williams) অনবদ্য অর্ধশতরান। ১৫০ রানের পুঁজি নিয়েই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিম্বাবোয়েকে তিন রানে পরাজিত করল বাংলাদেশ (BAN vs ZIM)। বল হাতে ফের একবার বাংলা টাইগারদের হয়ে অনবদ্য পারফর্ম করলেন তাসকিন আমেদ (Taskin Ahmed)। বাংলাদেশের তারকা ফাস্ট বোলার তিন উইকেট নেন। দুইটি কর উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
শুরুটা জিম্বাবোয়ে একেবারেই ভালভাবে করেনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৩৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল জিম্বাবোয়ে। শূন্য রানে আউট হন জিম্বাবোয়ের ইনফর্ম ব্যাটার সিকান্দার রাজা। রেগিস চাকাভাও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে একদিকে যখন পরপর উইকেট পরছিল। তখন অপরদিকে নিজের অনবদ্য এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন সন উইলিয়ামস। তিনি ৩৭ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। তবে ১৯তম ওভারেই নাটকের সবে শুরু। ৬৪ রানে ব্যাট করা সেট উইলিয়ামসকে অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে ডাইরেক্ট হিটে রান আউট করেন শাকিব আল হাসান।
নাটকীয় শেষ ওভার
শেষ ওভারে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। একসময় যখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ম্যাচ সহজেই জিতে নেবে। তখনই মোসাদ্দেক হোসেনের ওভারের তৃতীয় বল লেগ বাইয়ে চার হয় এবং চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান রিচার্ড এনগারাভা। তারপরের বলেই অবশ্য তিনি আউট হলে ম্যাচের মোড় ফের বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যায়। নাটকের শেষ এখানেও হয়নি। ইনিংসের শেষ বলে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য় ৫ রানের প্রয়োজন ছিল। মুজারাবানি এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে স্টাপ আউট হন, বা সঠিকভাবে বলতে গেলে সবাই ভেবেছিল তিনি স্টাম্প আউট হয়েছেন।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় নুরুল হোসেন উইকেটের আগেই বল ধরেছেন। তাই আম্পায়াররা নো বল দেওয়ার পাশাপাশি ফ্রি-হিটও দেন। ততক্ষণে দুই দলের খেলোয়াড়রা বাউন্ডারির বাইরে নিজেদের মধ্যে করমর্দনও সেরে ফেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের নিজেদের সেলিব্রেশন মাঝপথেই থামিয়ে আবারও মাঠে ফিরতে হয়। তবে মুজারাবানি এই শেষ বলেও সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ফলে তিন রানে এক চূড়ান্ত নাটকীয় ম্যাচ, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিতে নেয় বাংলাদেশ। আট উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রানেই থামে জিম্বাবোয়ের ইনিংস।
প্রথম ইনিংস
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশি ব্যাটাররা খুব বড় রান করতে পারল না। দলের হয়ে এদিন দুর্দান্ত লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়ে পেশির চোট সত্ত্বেও অর্ধশতরান করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। দুই ৫৫ বলে তাঁর সংগ্রহ ৭১ রান।শান্তর ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি চার ও একটি ছক্কায়। এটাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম অর্ধশতরান। শান্ত বাদে ব্যাট হাতে শাকিব ২৩ ও শেষের দিকে আফিফ হোসেন ১৯ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রান তোলে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় দুর্দান্ত রেকর্ড, প্রোটিয়া ম্যাচের আগে সাফল্যের কারণ খোলসা করলেন কোহলি