মুম্বই: একটা সময় তিনি গ্যালারিতে থাকা মানে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) সেঞ্চুরির পর তাঁর দিকে চুম্বন ছুড়ে দিতেনই। আবার কোহলি যখন ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছেন, বারবার আক্রান্ত হয়েছে তাঁকে। তিনি, অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma)। স্বামীর সাফল্যের দিনে যিনি আবেগে ভাসছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলির ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা লেখা পোস্ট করলেন অনুষ্কা। জানালেন, ম্যাচ চলাকালীন তিনি নিজে কতটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন।


অনুষ্কা লিখেছেন, 'তুমি অপূর্ব। তুমি অবিশ্বাস্য সুন্দর। আজ রাতে তুমি মানুষের জীবনে অনেক আনন্দ নিয়ে এলে এবং সেটাও দীপাবলির ঠিক আগে। তুমি অসাধারণ, অনন্য সাধারণ আমার ভালবাসার মানুষ। তোমার জেদ, সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস মনমুগ্ধকর। আমি এইমাত্র জীবনের সেরা ম্যাচ দেখলাম। আমাদের মেয়ে এতই ছোট যে, ও বুঝতেই পারবে না কেন ওর মা আজ গোটা ঘরে পাগলের মতো চিৎকার করতে করতে নাচছিল। একদিন ও বুঝবে যে এই রাতে ওর বাবা জীবনের সেরা ইনিংসটা খেলেছে। একটা কঠিন সময়ের পর যেটা এসেছে। তবে আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান হয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে। তোমার জন্য ভীষণ গর্বিত'।


 






তিনি বরাবরই আবেগের প্রতিমূর্তি সম। প্রতিপক্ষের উইকেট পড়লে মাঠেই কার্যত গর্জন করে ওঠেন। হতাশায় কখনও মাথায় হাত দেন, কখনও বিপক্ষকে মানসিকভাবে দুমড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু করে দেন বাকযুদ্ধ।


কিন্তু বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) মাঠে কখনও কাঁদতে দেখেছেন? বিরাটের পরম ভক্তদের প্রশ্ন করলেও জবাব পাওয়া যাবে না।


রবিবার মেলবোর্নে মাঠে হাজির লক্ষাধিক সমর্থক সেই বিরল দৃশ্যই দেখলেন। যখন ভারতের জয়ের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কোহলি।


শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। শেষ বলে মহম্মদ নওয়াজের বলে আর অশ্বিন সিঙ্গলস নিতেই পিচের ওপর বসে পড়েন কোহলি। তাঁকে দেখা যায় মুষ্টিবদ্ধ হাত পিচে ঠুকছেন। তারপরই বিরাটের চোখের কোনে দেখা যায় আনন্দাশ্রু। তাঁকে তখন আগলে রাখছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্যরা। হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেই পাক শিবিরে প্রত্যাঘাত করেছিলেন বিরাট। ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে প্রবেশ করেন হার্দিক।


আরও পড়ুন: এমন মুহূর্ত আর কখনও আসবে না, পাকিস্তান ইনিংসকে ভেঙে বললেন অর্শদীপ