লন্ডন: আফগানিস্তান ক্রিকেটে চলছে ডামাডোল। তালিবান ক্ষমতা কব্জা করার পর আফগানিস্তানের রাজনৈতিক চালচিত্র দেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। দেশের পুরুষ ক্রিকেট দলকে সূচি অনুযায়ী খেলার অনুমতি দেওয়া হলেও দলের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। টি ২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। আফগানিস্তানের পতাকায় দেশের পুরুষ দলকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার। আর যদি তালিবানের পতাকার আওতায় আফগানিস্তান দল অংশগ্রহণ করে, তাহলে তার প্রতিক্রিয়া হবে ব্যাপক।
আসন্ন বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে তালিবান কী ভাবছে, তা জানা নেই। কিন্তু হামিজ শিনওয়ারির জায়গায় নাসিব জারদান খানের নিযুক্তিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তালিবানের নিজেদের জাহির করার তুলে ধরার ইঙ্গিতই মিলেছে।
প্রোটোকল অনুসারে, টি ২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে তাদের পতাকা জমা দিতে হয়। এই প্রক্রিয়া ঘিরে কোনওদিনই বিতর্ক দেখা যায়নি। কিন্তু আফগানিস্তানের বিষয় নিয়ে এবার জোর জল্পনা চলছে। টি ২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য আফগানিস্তান দল যদি তালিবানের পতাকা জমা দেয়, তাহলে এশিয়ার এই দেশ সম্পর্কে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আইসিসি-র ওপর চাপ বাড়বে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে টেলিগ্রাফ ইউকে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিবানের পতাকা ব্যবহার করলে আইসিসি শুধু আফগানিস্তানের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণই নিষিদ্ধ করবে না, সেইসঙ্গে সদস্য দেশের মর্যাদাও কেড়ে নিতে পারে।
এ বারের টি ২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য আফগানিস্তান সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছে। আসন্ন টুর্নামেন্টে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ বি-তে রাখা হয়েছে তাদের। কোয়ালিফায়ার থেকে এই গ্রুপে আরও দুটি দল যোগ দেবে। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হচ্ছে টি ২০ বিশ্বকাপ।
তাদের জাতীয় মহিলা দলের হালহকিকত নিয়েও আফগানরা চাপে রয়েছে। আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, পূর্ণ সদস্যগুলির জাতীয় মহিলা দলও থাকতে হবে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এ বছরই তাদের মহিলা দল লঞ্চ করার কথা ছিল। কিন্তু দেশের কব্জা তালিবানের কবলে চলে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা আপাতত হিম ঘরে চলে গিয়েছে।
চলতি মাসের গোড়াতেই আইসিসি আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল নিয়ে উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছিল। অন্য সদস্য দেশগুলির মতো মহিলা দলকে সামনে নিয়ে আসা না হলে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের পুরুষ দলের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক টেস্ট বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।