মুম্বই : বেশ সুন্দর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা। ২০১৯ এ কেরিয়ারেও সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন রোহিত। আর ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি আছেন বেশ খোশ মেজাজে। স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন রোহিত নিজেই। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জানালেন, ২২ গজে ১২টি বছর কাটিয়ে এখন আর কে কী সমালোচনা করল, সেটা মনে দাগ কাটে না। জীবনে যেমন প্রশংসা পেয়েছেন, তেমন হেঁটেছেন কাঁটার উপর দিয়েও। তাই এখন খেলার ব্যাপারে অন্যভাবে ভাবেন তিনি।
টেস্ট ওপেনার হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সেসব নিয়েও এখন অদ্ভুত নির্লিপ্ত তিনি। বললেন, বহুদিন আগে টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কেন! রোহিতের সহজ জবাব, আগে প্রতিটি ম্যাচ খেলার পরই ভিডিও অ্যানালিস্টের কাছে ছুটতেন। প্রতিটি শট পর্যবেক্ষণ করতেন, চিন্তা করতেন কেন ওই বলটা ওর’ম ভাবে খেললেন। কিন্তু সেটা যে ঠিক নয়, সময়ের সঙ্গে তা বুঝেছেন রোহিত। এখন আর ওইভাবে ভাবেন না তিনি।
২০১৮-১৯ এর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই নিজের মনকে বুঝিয়েছেন, যা হবে, তা তো হবেই, আর টেকনিক নিয়ে ভাববেন না। ‘তাতে খেলাটা উপভোগ করা যায় না’, মত রোহিতের।
‘অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওপেনিং-এ দারুণ কিছু না করলেই বিপদ, ওটাই শেষ সুযোগ। আমি কিন্তু সেভাবে ভাবেনি। তাহলে ওইভাবে খেলতে পারতাম না।’, জানালেন রোহিত।
‘মনে কখনওই নেতিবাচক চিন্তা আসতে দেওয়া ঠিক নয়। সব সময় ভাবি, আমি যে সুযোগটা পাচ্ছি, সেটার জন্য অনেকে অপেক্ষা করে আছে। তাই আমি দুঃখ পাবো কেন?’
নিজের এই ভাবনাটাই দলের জুনিয়রদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান রোহিত। পন্থকেও এমনটাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে রোহিত জানিয়েছেন, ‘আমি ঋষভকে বলি নিজের চারপাশে একটা দেওয়াল তুলে রাখবে। ওটা তোমার নিজস্ব জায়গা। লোকে তোমার ব্যাপারে কথা বলতে চাইবে। তাদের বাইরে কথা বলতে দাও, ভেতরে আসতে দিও না। তুনি নিজে যেটা চাইবে সেটাই তুমি করো।’
বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁরা খেলতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে নির্দিষ্ট কয়েকদিনের থেকেও বেশি সময় কাটান।
‘পরিবারকে নিয়ে এমন কথা উঠলে খুব খারাপ লাগে। ওরা আমাদের পাশে থাকে, সমর্থন জানায়, আনন্দে রাখে।’, সোজাসাপটা জবাব ফ্যামিলি ম্যান রোহিতের।