ঢাকা: বিশ্বকাপের (World Cup 2024) জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Cricket Team) স্কোয়াডে তাঁর জায়গা হয়নি। শাকিবের (Shakib Al Hasan) সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দেশের মানুষের সহানুভূতি তাঁর সঙ্গে ছিল। কিন্তু তিনি কি আর ২২ গজে নামবেন না দেশের জার্সিতে? এই প্রশ্নই চারিদিকে ঘুরে ফিরে শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই বিষয় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। তিনি জানিয়ে দিলেন যে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বাঁহাতি ওপেনার। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকের পর তামিম জানান, ''ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরই আমার মনে হয়েছিল যে নিজের কেরিয়ার নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আমার। সেই মতই আমি আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্য়েই নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত জানাব। নিজের কেরিয়ার নিয়ে বরাবর সচেতন থেকেছি আমি। আমি দেশে ছিলাম না। তাই বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বসা হয়নি আমার। আলোচনা করেই সব জানাব।''
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন করেছিলেন তামিম। তার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এমনকী এও বলেন যে, তিনি আশা রাখেন যে এই সাংবাদিক বৈঠক কোনও প্রভাব ফেলবে না বাংলাদেশের খেলায়। তামিম আরও বলেন, ''বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও বিসিবি প্রধানের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে চাই আমি। আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে কিছু বিষয়। আমি বেশিদিন ঝুলিয়ে রাখতে চাই না। আপাতত বিপিএল খেলতে চাই। এরপর জানুয়ারির মধ্যে বাকি সিদ্ধান্ত জানাব।''
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে তামিমের নাম না থাকার পরই বিতর্ক শুরু হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে রওনা হওয়ার পরই তামিম তাঁর সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে তাঁকে স্কোয়াডে না রাখার পেছনে যে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে, তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন। বিশেষ করে মাত্র পাঁচটি ম্যাচই খেলবেন তামিম এমনটা নাকি তিনি জানিয়েছিলেন বিসিবিকে। তবে সেই খবরের কোনও সত্যতা নেই বলেই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। এরপরই মাশরাফি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। তিনি বলেন, ''আমার কাছে মনে হয়, শাকিব অনেক কথা বলেছে, যেগুলোর অনেক যুক্তি আছে। আরও কিছু কথা আছে, যেগুলো বলতে চাই। শাকিব একটা জিনিস পরিষ্কারভাবে বলেছে, সেটা হচ্ছে, অধিনায়কত্ব করতে চায় না। শাকিবের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। অধিনায়কত্ব করে অর্জনের কিছু নেই ওর এখন আর, এটি আসলে পরিষ্কার বার্তা। তারপরও তামিম ছেড়ে দেওয়ার পর শাকিবকে অধিনায়কত্বের ব্য়াটন তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়েই সাকিবকে নিতে হয়েছে। এতে তাকে সাধুবাদ জানানো উচিত।''