খেলা ছাড়ার পরেও সচিন ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ভাবনা-চিন্তা করছেন। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির উপর জোর দিচ্ছেন। সচিন বলেছেন, ‘এ বছর থেকে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ মাঠে হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি অনেক ভাবনা-চিন্তা করেছি। আমার একটা বৈপ্লবিক প্রস্তাব রয়েছে। আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাই, আমাদের কোকাবুরা বলে খেলতে হয়। সেই বল শুরু থেকেই স্যুইং করে। একজন তরুণ ব্যাটসম্যান এসজি বলে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার পরে বিদেশে গেলে সমস্যায় পড়বেই। তাই আমার এই প্রস্তাব। গ্রিন টপে কোকাবুরা বলে প্রথম ইনিংসের খেলা হলে ওপেনারদের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে। গ্রিন টপে কোকাবুরা বলে কীভাবে বল করতে হয়, সেটাও শিখতে পারবে স্পিনাররা। দ্বিতীয় ইনিংস টার্নিং পিচে হলে ব্যাটসম্যানরা ভাল মানের স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলতে দক্ষ হয়ে যাবে।’
সচিনের মতে, উপমহাদেশের বাইরে পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও, স্পিনারদের সামলানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয় না। কিন্তু সেটাও দরকার। দুটি আলাদা পিচ হলে টস জেতা-হারা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হবে না।
টেস্টে দর্শক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে সচিন মনে করছেন, এখন আর পাঁচ দিনের ম্যাচে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। অতীতে সুনীল গাওস্কর বনাম ইমরান খান, ভিভ রিচার্ডস বনাম জেফ টমসন, পরবর্তীকালে ব্রায়ান লারার সঙ্গে গ্লেন ম্যাকগ্রা, স্টিভ ওয়ার সঙ্গে কার্টলি অ্যামব্রোজের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন দর্শকরা। আট ও নয়ের দশকে সব দলের লক্ষ্য থাকত ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ওই দুটি দলে অবিশ্বাস্য দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটাররা ছিলেন। কিন্তু এখন আর তেমন বিশ্বমানের ক্রিকেটার নেই।
টেস্টের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য পরপর হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচের পক্ষে সচিন। তাঁর মতে, ভারতে দুটি টেস্টের পর ইংল্যান্ডে দুটি টেস্ট হোক। একই ক্রিকেটাররা আলাদা পরিবেশ-পরিস্থিতিতে খেললে তবেই ন্যায্য লড়াই হবে।
বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন বর্তমান দলকে দেখে ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলা ভারতীয় দলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে সচিনের। তাঁর মতে, দুটি দলেই ভাল মানের পেসারদের পাশাপাশি স্পিনাররাও আছেন। বর্তমান দল বিশ্বের সেরা। কিছুদিন পরেই বাকি দলগুলি ভারতকে অনুসরণ করা শুরু করবে।