টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সের জন্য গেমস ভিলেজ খুলে দেওয়া হল মঙ্গলবার। গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থের জন্য প্রতিযোগীদের স্বাগত জানানো শুরু হয়ে গেল। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক্স। শেষ হবে ৮ অগাস্ট।


এরধ্যেই বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা আসা শুরু করে দিয়েছেন গেমস ভিলেজে। চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিযোগীরা গেমস ভিলেজে পা রেখেছেন প্রথমে। মোট ২০৫টি দেশের ১১ হাজার অ্যাথলিট এবার টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলেছেন। করোনার জন্য প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে এবারের অলিম্পিক্সে। গত বছর হওয়ার কথা ছিল এই টুর্নামেন্টের। কিন্তু কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।


আইওসি সভাপতি টমাস বাখ এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘অ্যাথলিটরা সত্যিই ভীষণ সৌভাগ্যবান যে এই পরিস্থিতির মধ্যেও অলিম্পিক্স আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিযোগীদের সুরক্ষার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এবার গেমস ভিলেজের ভেতরে চলাফেরাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আগে থেকে অনুমতি নিয়েই বেরোতে পারবেন অ্যাথলিটরা। এছাড়াও প্রতিযোগীরা কোনও ট্যুরিস্ট স্পট বা পাব ও রেস্তোরাঁতেও বেরোতে পারবেন না।


টোকিওর হারুমি ওয়াটারফ্রন্ট জেলায় মোট ৪৪ হেক্টর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে এই গেমস ভিলেজ। শুধুমাত্র প্রতিযোগী ও সাপোর্ট স্টাফরাই চলাফেরা করতে পারবেন ওখানে। কোনও সাংবাদিককে গেমস ভিলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।


প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিযোগী যারা অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলেছন, তাঁদের করোনার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া খাবারের ক্ষেত্রেও নতুনত্ব রয়েছে। ওয়েস্টার্ন ও এশিয়ান খাবার রয়েছে। মোট ২১ টি আবাসিক বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে প্রতিযোগীদের জন্য। প্রতিটি বিল্ডিং থেকে প্রত্যেক দেশের জাতীয় পতাকা ঝোলানো থাকবে। 


অলিম্পিক্সের ভিলেজে থাকছে ডাইনিং হল, ফিটনেস সেন্টার। এছাড়াও থাকছে ডোপিং কন্ট্রােল সেন্টার। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বিশেষ ফিভার ক্লিনিক। যেখানে প্রতিযোগীদের করোনা হলে বা করোনার উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে অন্যান্য দেশের সব প্রতিযোগীরাও অলিম্পিক্স ভিলেজে প্রবেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে।