নয়াদিল্লি: সাত বা আটের দশকে টেস্ট ক্রিকেটে যেরকম দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেখাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই গৌরব পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন বলে মনে করছেন ক্রিস গেইল। তিনি বলেছেন, ‘আধুনিক ক্রিকেটের কাঠামো এমন হয়ে গিয়েছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অতীতের গৌরব ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। সংক্ষিপ্ত ওভারের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে তরুণরা সেই ফর্ম্যাটের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। টেস্টে সাফল্য পাওয়ার জন্য অনেক বেশি মনঃসংযোগ দরকার। ধারাবাহিকতা অর্জন করতে গেলে সংযম দরকার।’


গত কয়েক বছরে টি-২০ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। দু বার টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গেইলরা। কিন্তু টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের পারফরম্যান্স মোটেই ভাল নয়। ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হেরে গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টেস্টে ৭,২১৪ রান করেছেন গেইল। তাঁর দুটি ট্রিপল সেঞ্চুরি আছে। টি-২০ ফর্ম্যাটেও যথেষ্ট সফল গেইল। কিন্তু তিনি টেস্টের সাফল্যকেই বেশি গুরুত্ব দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী নন গেইল। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘টি-২০ ক্রিকেটে আমাদের সাফল্যের কারণ হল, কম সময়ের খেলায় আক্রমণ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু টেস্টে এটা সম্ভব নয়। টেস্টে অনেক ধৈর্য ধরে খেলতে হয়। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের টি-২০ ফর্ম্যাটের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, সব পেশাদার ক্রিকেটারই ভাল কেরিয়ার চায়। বাস্তবটা মেনে নিতে হবে। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক টি-২০ লিগ হচ্ছে। ব্র্যাড হগকে দেখেই বোঝা যায়, ফিট থাকলে ৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টি-২০ খেলা যায়। সেই কারণেই টি-২০ জনপ্রিয় হচ্ছে।’

গেইলের মতে, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের হাল ফেরাতে হলে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বোর্ডকর্তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। সব ক্রিকেটারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চান। তাই ড্যারেন ব্র্যাভোর সঙ্গে বোর্ডকর্তাদের যে সমস্যা হয়েছে, সেই ধরনের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।