ম্যাঞ্চেস্টার: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে খারাপ ফল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। গতকাল খাতায় কলমে দুর্বল ব্রেন্টফোর্ডের বিরুদ্ধে ৪-০ লজ্জার হার হারতে হয় রেড ডেভিলসদের। একাদশে প্রথম থেকে থাকলেও গোলের মুখ দেখতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গত ৩০ বছরে এতটা খারাপ পারফরম্যান্স বোধহয় ম্যান ইউয়ের আর হয়নি। আর এই পারফরম্যান্সের পরই সোশাল মিডিয়ায় বিদ্রুপ রোনাল্ডো, ব্রুনোদের নিয়ে।


খেলার ৩৫ মিনিটেই চার গোল হজম


ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ব্রেন্টফোর্ড। পরপর কয়েক মিনিটের বিরতিতেই গোল করে যান ডাসিলভা, জেনসেন, মি এবং এমবিউমো। হাফটাইমে ৪-০ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছেড়েছিল ম্যান ইউ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যদিও কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ১৯৯২-৯৩ মরসুমে শেষবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ২ ম্যাচে হেরে অভিযান শুরু করেছিল রেড ডেভিলসরা। তবে এদিন ৪-০ গোলে বিশাল হার যেন দুঃস্বপ্ন থেকেও খারাপ। নতুন কোচ এরিক টেন হাগের জন্যও শুরুটা একদমই ভাল হল না। 


দ্বিতীয়ার্ধে ম্যান ইউ কিছুটা আক্রমণে তেজ বাড়িয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মূল্য যে স্ট্র্যাটেজি লং বলে রোনাল্ডোকে খুঁজে নেওয়া, তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। রোনাল্ডোকে গোটা ম্যাচে ম্যান মার্কিং করেছিলেন ব্রেন্টফোর্ডের ডিফেন্স। এর মাঝে ২-৩ বার দুরন্ত হেড দিলেও তা জালে ঢোকাতে পারেননি সি আর সেভেন।


ট্যুইটারে সমালোচনার ঝড়


 






 






 






অবশ্য ম্যানইউ বিধ্বস্ত হলেও টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এতিহাদ স্টেডিয়ামে বোর্নমুথকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করেন সিটির ইকেই গান্ডোগান, কেভিন ডি ব্রুইনে ও ফিল ফোডেন। ৭৯ মিনিটে লেরমার আত্মঘাতী গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় সিটির।