বেননি: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল উদয় সহরনের দল। রেকর্ড ১৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন সচিন দাস (Sachin Dash) ও উদয় সহরন (Uday Saharan)। এই ফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এবার ষষ্ঠবার যুব বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ভারতীয় দলের সামনে।
২৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল। গোটা টুর্নামেন্টে ভারতীয় ব্য়াটাররা প্রতি ম্য়াচে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু এদিন আদর্শ সিংহ খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কূলকর্নী ১২ রান করেন মাত্র। ভারতের সবচেয়ে সফল ব্যাটার মুশির খান মাত্র ৪ রান করেন। প্রিয়াংশু মোলিয়াও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল একটা সময় ভারত। সেখান থেকেই সচিন দাস ও উদয় সহরন মিলে ১৭১ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই পার্টনারশিপই দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। সচিন ৯৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অল্পের জন্য শতরান মিস করেন তিনি। শেষ ওভারে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল উদয় আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। তিনি ৮১ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে রাজ লিম্বা ৪ বলে ১৩ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ২ ওপেনার স্টোক ও ড্রে প্রিটোরিয়াস বেশ ভালই ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন দুরন্ত ফর্মে থাকা রাজই। তাঁর ওয়াইড লেংথের একটি বল খোঁচা দিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান স্টোক। ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ডেভিড ট্রিগার খাতা খোলার আগেই রাজের বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর রিচার্ড সেলেটসোয়ানেকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন প্রিটোরিয়াস। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। প্রিটোরিয়াস ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। অন্য়দিকে রিচার্ড ১০০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। মিডল অর্ডারে অলিভার ২২ রান ও জুয়ান ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে ট্রিস্টান লুস ১২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত দুশোর গণ্ডি কোনওভাবে পেরবে প্রোটিয়া শিবির। সেখান থেকে লুসের ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশোর কাছাকাছি দলের স্কোর পৌঁছে যায়।