অ্যান্টিগা: একেই বোধহয় বলে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলা। একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুরন্ত শতরান হাঁকালেন ক্যাপ্টেন। আর তাতেই চালকের আসনে দল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন যশ ধূল। ৯৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অধিনায়ককে যোগ্য সহায়ত দিলেন শাইক রাশিদ। ২ জনের পার্টনারশিপের ওপর ভর করেই মূলত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বোর্ডে বিশাল ২৯০ রান তুলে নিল ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে উঠতে হলে ২৯১ রান করতে হবে।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক যশ ধূল। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আংক্রিশ রাঘুবংশী ও হরনূর সিংহ। কিন্তু কেউই বেশি রান করতে পারেননি। প্রথমজন ৬ রান করেন। দ্বিতীয় জন ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় ভারতের। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। এরপরই পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন অধিনায়ক যশ ধূল ও সহ অধিনায়ক শাইক রশিদ। ১০টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১০ বলে ১১০ রান করেন তিনি। ১০৮ বলে ৯৪ রান করেন শাইক রশিদ। তিনি ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। বোর্ডে ২৪১ রান যখন ভারতের। তখন তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। যশ ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান। পরের বলেই ৯৪ রানে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন শাইক। 


এরপর লোয়ার অর্ডারে নিশান্ত সিন্ধু ও দীনেশ বানা মিলে দলের স্কোর ২৯০ এ পৌঁছে দেন। নিশান্ত ১০ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে দীনেশ বানা শেষ ওভারে ৪ বলে ২০ রান করেন। ২টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। অস্ট্রেলিয়া বোলারদের মধ্যে ২টো করে উইকেট নেন জ্যাক নিসবেট ও উইলিয়াম স্যালজম্যান। এছাড়া আর কেউই কোনো সাফল্য পাননি। 


আরো পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগেই ভারতীয় শিবিরে করোনা হানা, আক্রান্ত ৩ ক্রিকেটার