নয়া দিল্লি : বিশ্বজয়ের পর ভারতের তরুণ ব্রিগেডকে অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। "আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য ভীষণ গর্বিত। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অভিনন্দন। গোটা টুর্নামেন্টে তারা দারুণ মনোবল দেখিয়েছে। তাঁদের অনবদ্য পারফরম্যান্স প্রমাণ করল ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত ও দক্ষদের হাতে রয়েছে।" ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর।


বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন ভারত (India World Champion)। এই নিয়ে পাঁচবার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্য়ান্ডকে হারিয়ে খেতাব জিতে নিয়েছে যশ ধূলের দল। প্রথমে বল হাতে রাজ বাওয়া, রবি কুমারদের দাপট। এরপর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত  রানের ইনিংস খেলেন শাইক রশিদ। অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন নিশান্ত সিন্ধু। ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ৪৭.৪ ওভারে জয়ের জন্য় প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। এই নিয়ে আটবার ফাইনালে উঠে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হল যুব ভারতীয় দল। 


আরও পড়ুন ; ব্রিটিশ দম্ভ চূর্ণ করে পঞ্চমবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত


বোলাররা দাপট দেখিয়েছিলেন। মাত্র ১৮৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ইংল্য়ান্ড। অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু শুরুটা একদমই ভাল হয়নি ভারতের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই ফিরে যান আঙ্গক্রিশ রঘুবংশী। এরপর হরনূর সিংহের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাইক রশিদ। ২ জনে মিলে ৪৮ রান বোর্ডে যোগ করেন। দলের ৪৯ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। ২১ রানের প্যাভিলিয়নে ফেরেন হরনূর। এরপর অধিনায়ক যশ ধূলের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন শাইক। ৪৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ২ জনে মিলে। ফাইনালে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন শাইক। ৮৪ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিন্তু অর্ধশতরানের পরই তিনি ফিরে যান। তার এক ওভারের মধ্যে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন যশ ধূলও। সাময়িক চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। কারণ রাজ বাওয়া ও নিশান্ত সিন্ধু মিলে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। রাজ ৩৫ রান করে ফিরে গেলেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত দীনেশ বানাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন নিশান্ত সিন্ধু। তিনি ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।