লন্ডন: ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতিহাস তৈরি করা হল না ইংল্যান্ডের। পুরো ৬৫ মিনিট পিছিয়ে থাকার পরেও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটাল ইতালি। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফয়সালা না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়। সেখানেই আর কোনও গোল না হওয়ায় ম্য়াচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৩-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ইউরোপের সেরা দলের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিল ইতালি।


ম্য়াচের কিক অফের ২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। লুক শ গোল করেন। ইউরো কাপের ফাইনালে যা দ্রুততম। প্রথমার্ধ শেষ হয় ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায়। ৬৭ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে ইতালিকে সমতায় ফেরান লিওনার্দো বোনুচ্চি। শেষে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয়ী ইতালি।


১৯৬৬ বিশ্বকাপে জেতার পর এই প্রথম কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। তবে ঘরের মাঠে ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হল গ্য়ারেথ সাউথগেটের দলের। ইতালির সামনেও প্রমাণ করার ছিল অনেক কিছু। ২০১৮ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল ইতালি। তারপর সে দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কোচ হয়ে আসার পর থেকেই অবশ্য দলের খোলনলচে বদলে ফেলেছিলেন রবার্তো মানচিনি। টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থেকে চ্য়াম্পিয়ন হল মানচিনির দল। সেই সঙ্গে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার ১৫ বছর পর ফের বড় কোনও ট্রফি জিতল ইতালি।


ফাইনালের নায়ক ইতালির গোলকিপার জানলুইজি দোনারুম্মা। টাইব্রেকারে দুটি শট বাঁচিয়ে দেন তিনি। তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয়বারের জন্য ইউরোপের সেরা হল ইতালি। এর আগে ১৯৬৮ সালে একমাত্র ইউরো খেতাব জিতেছিল ইতালি।


টাইব্রেকারে প্রথমে গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন বেরার্দি। গোল করেন ইংল্যান্ডের হ্য়ারি কেনও। তবে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে এরপরই বেলোত্তির শট আটকে দেন ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। হ্য়ারি ম্য়াগুয়ের গোল করায় এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বোনুচ্চি গোল করে ২-২ করেন। এরপরই রাশফোর্ড পোস্টে মেরে বসেন। বার্নান্দেস্কি গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে জেডন স্যাঞ্চোর শট রুখে দেন দোনারুম্মা। ইতালির হয়ে পঞ্চম শটে গোল করতে পারেননি জরগিনহো। তাঁর শট পিকফোর্ডের হাতে ও পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তবে এরপর সাকার শট আটকে দিয়ে ইতালিকে জেতান গোলকিপার দোনারুম্মা।