ম্যাঞ্চেস্টার: উয়েফা নেশন্স লিগে লজ্জার হার ইংল্য়ান্ডের। ঘরের মাঠে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে হেরে গেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ১৯২৮ সালের পর ঘরের মাঠে এর থেকে বাজে হার আর কখনও হয়নি ইংল্য়ান্ডের। চার বা তার বেশি গোলে শেষবার ইংল্য়ান্ড হেরেছিল ঘরের মাঠে ১৯২৮ সালে। সেবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে হারতে হয়েছিল তাঁদের। 


গোটা ম্য়াচেই একের পর এক গোল হজম করল থ্রি লায়ন্স। আর সমর্থকদের খোঁচা শুনতে হল প্রতিনিয়ত। আর পাঁচ মাস পরেই বিশ্বকাপের আসর। এই হার কিন্তু চিন্তা বাড়িয়ে দিল ইংল্য়ান্ডের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেটেরও। 


এর আগে জার্মানিকে আটকে দিয়েছিল হাঙ্গেরি। এবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলেন ন্যাগি-সালাইরা। গোটা ম্যাচে বল পজিশনের দিক থেকে দেখলে কিন্তু ইংল্যান্ডই এগিয়ে ছিল। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ১০টি শটের ২টি শট গোলমুখি ছিল কেনদের। উল্টোদিকে ৬ বার শট নিয়ে পাঁচবারই অন টার্গেট ছিল হাঙ্গেরির। 


খেলার ১৬ মিনিটের মাথায় হাঙ্গেরির হয়ে প্রথম গোল করেন ফ্রেইবুর্গ উইঙ্গার রোলান্ড সালাই। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান সালাই। সল্ট ন্যাগি ৩-০ স্কোরলাইন করে দেন। হাঙ্গেরির হয়ে শেষ গোল করেন ড্যানিয়েল গ্যাজড্যাগ।


এর আগে ১৯৫৩ সালের ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই দেশের মাটিতে শেষবার জয় পেয়েছিল হাঙ্গেরি। এরপর ৬৯ বছর পর ফের একবার ব্রিটিশ ভূমিতে জয় ছিনিয়ে নিল হাঙ্গেরি। 


তবে ম্যাচের শেষে হতাশ ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট। তিনি বলেন, ''আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। প্রথম গোলটা আমাদের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা আঘাত হানে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তাদের দ্বিতীয় গোলটা আমাদের চূর্ণ করে দেয়। আমি একটি তরুণ দল খেলিয়েছি এবং এই দায় আমার। হাঙ্গেরির বিপক্ষে দুই ম্যাচে দলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারিনি।'' উল্লেখ্য, এবারের নেশন্স লিগে এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হারতে হয়েছে থ্রি লায়ন্সদের।