মুম্বই: দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না বেঙ্কটেশ আইয়ার। তাঁর পাল্টা মুম্বইয়ের জার্সিতে ঝোড়ো অর্ধশতরান হাঁকালেন ঈশান কিষাণ। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমে দ্রুত রান তুললেন রোহিত শর্মা। ওপেনিং পার্টনারশিপে মাত্র ৫ ওভারে ৬৫ রান তুলেই কেকেআরের হাত থেকে ম্য়াচের রাশ কেড়ে নিয়েছিলেন রোহিত-ঈশান। বাকি কাজটা নিঁখুতভাবে সম্পন্ন করে দেন সূর্যকুমার যাদব, টিম ডেভিড, তিলক ভার্মারা। ১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান বোর্ডে তুলে নেয় মুম্বই শিবির।


১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন ঈশান। প্রথম একাদশে শুরু থেকে না খেললেও পরে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ওপেনে নেমেছিলেন রোহিত। তিনিও ১৩ বলে ২০ রানের ছোট্ট উপযোগী ইনিংস খেলেন। মুম্বই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সুয়াশ শর্মা। তবে নির্দয় ছিলেন বাঁহাতি তরুণ উইকেট কিপার ব্যাটার। নিজের ২৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান ঈশান কিষাণ। সূর্যকুমার যাদবও এদিন রানে ফিরলেন। তিনি ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে। শেষ দিকে তিলক ভার্মা ২৫ বলে ৩০ ও টিম ডেভিড ১৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করেন। কলকাতার বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সুয়াশ শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন শার্দুল, বরুণ ও লকি। তবে কেউই এদিন সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি। 


এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮৫ রান বোর্ডে তুলেছিল কেকেআর। দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাত্র দ্বিতীয় কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা হিসাবে আইপিএলে(IPL 2023) শতরান হাঁকালেন বেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer)। ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে বেঙ্কটেশ বাদে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সরে বিরুদ্ধে এদিন আর কোনও নাইট তারকাই তেমন বড় রান করতে পারেনি. নির্ধারিত ২০ ওভারের কেকেআর ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৮৫ রান তুলল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ঋত্বিক শোকিন সর্বাধিক দুই উইকেট নেন।


 শুরুটা নাইটরা ভাল করতে পারেনি। শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন এন জগদীশন। তবে তিন নম্বরে ব্যাটে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছন্দে ছিলেন বেঙ্কটেশ। তাঁকে সঙ্গ দেন রহমনল্লাহ গুরবাজ। ৪৬ রান যোগ করেন দুইজনে। তবে পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ৮ রানে ফেরেন গুরবাজ। গত ম্যাচে দুরন্ত অর্ধশতরান করা নীতীশ রানাও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।  


গত ম্যাচে মাত্র পাঁচ বলই করেছিলেন শার্দুল ঠাকুর, ব্যাটও পরের দিকেই নেমেছিলেন তিনি। তবে এদিন তাঁকে পাঁচে ব্যাট করতে নামানো হয়। এই পরীক্ষা অবশ্য তেমন সফল হয়নি। মাত্র ১৩ রান করেন তিনি। রিঙ্কু করেন ১৮ রান। তবে একদিকে যেখানে বাকি ব্যাটাররা দ্রুত গতিতে রান করতে চাপে পড়ছিলেন, সেখানে বেঙ্কটেশ কিন্তু নিজের খেলা চালিয়েই যান। দেখতে দেখতেই ৪৯ বলে শতরান হাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। অবশ্য শতরান করার পরেই স্কুপ মারতে গিয়ে ১০৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।


এই নিয়ে ৩২ বারের সাক্ষাতে ২৩ বার কেকেআরের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল মুম্বই। কেকেআরের পরের ম্যাচ ২০ তারিখ দিল্লি ক্য়াপিটালসের বিরুদ্ধে।