রাঁচি: ঘরোয়া ক্রিকেটে চমক দিল সার্ভিসেস। বিজয় হাজারে ট্রফিতে (Vijay Hazare Trophy) শক্তিশালী মুম্বইকে হারিয়ে দিল তারা। সেই মুম্বই, যারা সদ্য সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।


দুই ওপেনারের জোড়া সেঞ্চুরিতেই বাজিমাত করে সার্ভিসেস। শুভম রোহিল্লা ১১৯ বলে ১৩৫ রান করেন। রবি চৌহান ১২০ বলে ১০০ রান করেন। ওপেনিং জুটিতেই সার্ভিসেস করে ফেলে ২৩১ রান। মুম্বইয়ের যশস্বী জয়সবালের সেঞ্চুরিকে ব্যর্থ করে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সার্ভিসেস।


হারের মধ্যেই মুম্বই দলের জন্য অপেক্ষা করেছিল উদ্বেগও। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার সরফরাজ খান ভর্তি হাসপাতালে। তিনি শনিবার বাংলার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। বাংলাকে হেলায় হারিয়েওছিল মুম্বই। সেই ম্যাচে অবশ্য ব্যাট করতে নামতে হয়নি সরফরাজকে। তবে এই ম্যাচের পরেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। যে কারণে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি সরফরাজ।


সরফরাজের বাবা নওসাদ খান জানিয়েছেন, কিডনিতে পাথর হয়েছিল সরফরাজের। প্রচণ্ড ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সরফরাজ এখন ভাল আছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর বাবা।


বাংলার সহজ জয়


গতকাল বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) প্রথম ম্যাচেই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল বাংলাকে (Bengal Cricket Team)। তবে ঠিক পরেরদিনেই জয়ে ফিরল বাংলা। শুধু জয় ফিরল বলা বরং ভুলই হবে। মিজোরামকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করল বাংলা দল। কোহলিদের দুরমুশ করে নয় উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা।


এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিজোরাম অধিনায়ক তরুয়ার কোহলি। তবে মাত্র ৫৭ রানেই অল আউট হয়ে যায় মিজোরাম। ম্যাচের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে মিজোরাম। মাত্র ১৭ রানেই অর্ধেক মিজোরাম দল সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল।  অবিনাশ যাদব ও জোসেফ ষষ্ঠ উইকেটে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। ২৮ রান যোগ করেন দুইজনে। তবে অবিনাশকে সাজঘরে ফেরত পাঠান শাহবাজ আমেদ। তারপরে শেষ চার উইকেট পড়তে বেশি সময় লাগেনি। কোনওরকমে ৫০ রানের গণ্ডি পার করেই অল আউট হয়ে যায় মিজোরাম। বল হাতে চার উইকেট নেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক (Pradipta Pramanik)। তিন উইকেট পান গীত পুরি। মুকেশ কুমার ও শাহবাজ আমেদ যথাক্রমে দুই এবং একটি উইকেট নেন।
জবাবে মাত্র সাত ওভারের মধ্যেই জয় সুনিশ্চিত করে নেয় বাংলা। ওপেনার সুদীপ ঘরামি চার রানে আউট হলেও, ঋত্বিক রায় চৌধুরী ও অগ্নিভ পান বাংলার জয় সুনিশ্চিত করেন। ঋত্বিক ২৬ ও অগ্নিভ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৬২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতল বাংলা।