দুবাই: প্রথমবার মনোনীত হয়েছিলেন। আর মনোনীত হয়ে এবার সেই অ্যাওয়ার্ডও ঝুলিতে পুরে নিলেন। আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ (ICC Mens Player of the Month) হলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন কিং কোহলি। এরমধ্যেই তিনটি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন। অক্টোবর মাসের সেরা প্লেয়ারের ভোট সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন বিরাট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ও জিম্বাবোয়ের সিকান্দার রাজা।
কী বলছেন বিরাট?
প্রথমবার আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ হওয়ার পর বিরাট বলছেন, ''দারুণ সম্মানের ব্যাপার আমার কাছে। গোটা বিশ্বজুড়ে আমাকে মানুষ ভালবেসেছেন। আমাকে অক্টোবর মাসের সেরা প্লেয়ার হিসেবে ভোট দিয়েছেন। আমি বাকি যে ২ জন মনোনীত হয়েছিল তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তাঁরাও গোটা মাস ধরে দারুণ পারফর্ম করেছেন। এছাড়াও আমার দলের প্রত্যেক সদস্যকে ও সতীর্থকে ধন্যবাদ আমাকে এতটা সমর্থন করার জন্য।''
উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ২৪৬ রান করে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক বিরাট। বাংলাদশের বিরুদ্ধে ৪৪ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কার সহায়তায় ৬৪ রান করেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক।
ঠিক এক, দেড়মাস আগেও পরিস্থিতি একদম অন্য়রকম ছিল। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে পর্যন্ত বিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে রাখা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। একের পর এক ফ্লপ ইনিংস। প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় সেঞ্চুরি নেই। নেতৃত্ব যাওয়া। সময়টাও খারাপ যাচ্ছিল কিং কোহলি। যদিও এখন ছবিটা একদম বদলে গিয়েছে।
কিন্তু এই খারাপ সময়ে কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন কোহলি? প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সিংহভাগ কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁর পূর্বসূরি মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। হ্যাঁ, মাহির থেকে পাওয়া বার্তাই বদলে দিয়েছিল বিরাটকে।
কী বলেছিলেন ধোনি?
বিরাট আরসিবির পডকাস্টে জানান, ''খারাপ সময় ধোনিই আমাদের সাহস জুগিয়েছিল। আমি যে পারব সেই আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল। আমি সব সময়, একজন আত্মবিশ্বাসী, মানসিকভাবে শক্তিশালী কাউকে চেয়েছিলাম। যে এই কঠিন সময় আমাকে পথ দেখাবে। কখনও কখনও অতীতে যেতে হয়। বর্তমানে কেমন কাজ করছি, সেটা দেখার জন্যও জরুরি। তিনি আমার চেয়ে সিনিয়র, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার পারস্পরিক সম্পর্কও দারুণ। আমার ও ধোনির মধ্যে এমন বন্ধুত্ব রয়েছে যার ভিত্তিই হলো পারস্পরিক সম্মান।''