উল্লেখ্য, গতকাল কটকে সেই চেনা যুবিকেই দেখা গিয়েছে।ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ১৫০ রানের ইনিংস ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। গতকাল ম্যাতে জয়ের পর যুবি বলেছেন, দল ও অধিনায়কের আস্থা এমনিতেই আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে। আমি মনে করি, বিরাট আমার ওপর প্রচুর আস্থা রেখেছে। আর ড্রেসিংরুম পাশে থাকা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।
৩৫ বছরের এই বাঁহাতি বলেছেন, একটা সময় অবসর নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিলাম।সেই সময় অনেকেই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই হাল না ছাড়াতেই আমি বিশ্বাস করি। তাই আমি কখনও হাল ছাড়িনি। বরং আরও কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করি। আমি জানতাম সময় বদলাবে।
২০১১-র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি এল কটকে। কটকে কেরিয়ারের ১৪ তম সেঞ্চুরি করে দারুন খুশি যুবি। তিনি বলেছেন, ক্যানসার থেকে সেরে ওঠার পর প্রথম ২-৩ বছর খুবই কঠিন ছিল। ফিটনেসের জন্য আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দলের বাইরেও থাকতে হয়েছে। সেই সময়ের পর দলে আমার জায়গা পাকা করতে পারিনি।
রঞ্জি ট্রফিতে চোখধাঁধানো পারফর্ম করে দলে ফিরেছেন যুবরাজ। তাঁর দলে ফেরা নিয়ে সমালোচনাও শোনা গিয়েছে।যুবরাজ বলেছেন, লোকে কী বলছে, তা কোনওদিন খেয়াল করিনি। আমি শুধু খেলার প্রতিই মনোনিবেশ করেছি। আমি নিজের কাছেই প্রমাণ করেছি যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য আমি এখনও সক্ষম।
আগামী ম্যাচগুলিতেই এই ফর্ম ধরে রাখাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট।