২০১৯-এর বিশ্বকাপে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের ভুল সিদ্ধান্ত, ২০০৩-এ সচিনের অপ্রতিরোধ্য ইনিংসে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে, বললেন ওয়াকার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
19 Jun 2020 07:05 PM (IST)
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সেই আফসোস ঘুরেফিরে আসে প্রাক্তন থেকে বর্তমান পাক ক্রিকেটারদের কথায়। ইংল্যান্ডে গত বছরের বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে বিশ্রিভাবে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
NEXT
PREV
করাচি: বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সেই আফসোস ঘুরেফিরে আসে প্রাক্তন থেকে বর্তমান পাক ক্রিকেটারদের কথায়। ইংল্যান্ডে গত বছরের বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে বিশ্রিভাবে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। সেই হারের ক্ষত নিয়ে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে পাক ক্রিকেট মহলে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই ভুল। এক্ষেত্রে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পাক দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। ওই হারের পরও টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল। সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সরফরাজ বলেছিলেন, মেঘাছন্ন পরিবেশ দলের বোলারদের অনুকূল হওয়ার আশা করছিলেন। এই পরিবেশে বোলাররা তাড়াতাড়ি কিছু উইকেট তুলে নিলে ভারতকে চাপে ফেলা যেত।
কিন্তু ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল নতুন বলটা দারুণভাবে সামলে দিয়েছিলেন। দুজনেই পাক বোলারদের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার কোনও সুযোগই দেননি। এরপরও ভারতের সহ অধিনায়ক ১৪০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসের সৌজন্যে ভারত পাকিস্তানের সামনে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। রান তাড়া করতে নেমে পাহাড় প্রমাণ রানের চাপ সামলাতে পারেনি। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তারা ৯৯ রানে হেরে যায়।
একটি চ্যাট শো-তে ওয়াকার বলেছেন, আমার মনে হয়, ২০১৯-এ শুরু থেকেই কোনওকিছু ঠিকঠাক ছিল না পাকিস্তানের। আমার মনে হয়, ওরা পিচ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করছিল। ভেবেছিল, শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলে ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়া যাবে। কিন্তু ভারতের ওপেনাররা ছিল অভিজ্ঞ। ওরা বোলারদের থিতু হতে দেয়নি। আর পিচ থেকেও বোলাররা কোনও সাহায্য পায়নি। একবার ভালো শুরর পর ওদের থামানো মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। ওরা এত বেশি রান তুলে ফেলেছিল যে, পাকিস্তানের আর কিছু করার ছিল না।
২০০৩-এর বিশ্বকাপে যে পাক দল ভারতের কাছে হেরেছিল, সেই দলে ছিলেন ওয়াকার। সেই ম্যাচেরও স্মৃতিচারণ করেছেন ওয়াকার। পাকিস্তান ভারতের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকরের বিধ্বংসী ৯৮ রানের ইনিংস বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ের খরা কাটানোর স্বপ্ন বিলীন করে দিয়েছিল। ভারত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। সচিনের সেই ইনিংসকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে অভিহিত করেছেন ওয়াকার।
প্রাক্তন পাক ফাস্ট বোলার বলেছেন, ২০০৩-এ সচিনের সেই ইনিংস ভাষা দিয়ে বর্ণনা করা যায় না। কারণ, ভারত খুবই চাপে ছিল। আর আমাদের বোলিং অ্যাটাক ছিল খুবই ভালো। সচিনকে জিজ্ঞাসা করলে ও-ও হয়ত একই কথা বলবে। ওটা ছিল সম্ভবত অন্যতম সেরা ইনিংস। চাপের মুখে যেভাবে ও আমাকে, শোয়েব আখতার ও ওয়াসিম আক্রামকে আক্রমণ করে শুরু থেকেই রানের গতি বাড়িয়েছিল, তা চমকপ্রদ। আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস।
করাচি: বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সেই আফসোস ঘুরেফিরে আসে প্রাক্তন থেকে বর্তমান পাক ক্রিকেটারদের কথায়। ইংল্যান্ডে গত বছরের বিশ্বকাপেও ভারতের কাছে বিশ্রিভাবে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। সেই হারের ক্ষত নিয়ে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে পাক ক্রিকেট মহলে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল একেবারেই ভুল। এক্ষেত্রে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পাক দলের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। ওই হারের পরও টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল। সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সরফরাজ বলেছিলেন, মেঘাছন্ন পরিবেশ দলের বোলারদের অনুকূল হওয়ার আশা করছিলেন। এই পরিবেশে বোলাররা তাড়াতাড়ি কিছু উইকেট তুলে নিলে ভারতকে চাপে ফেলা যেত।
কিন্তু ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল নতুন বলটা দারুণভাবে সামলে দিয়েছিলেন। দুজনেই পাক বোলারদের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার কোনও সুযোগই দেননি। এরপরও ভারতের সহ অধিনায়ক ১৪০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসের সৌজন্যে ভারত পাকিস্তানের সামনে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। রান তাড়া করতে নেমে পাহাড় প্রমাণ রানের চাপ সামলাতে পারেনি। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তারা ৯৯ রানে হেরে যায়।
একটি চ্যাট শো-তে ওয়াকার বলেছেন, আমার মনে হয়, ২০১৯-এ শুরু থেকেই কোনওকিছু ঠিকঠাক ছিল না পাকিস্তানের। আমার মনে হয়, ওরা পিচ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করছিল। ভেবেছিল, শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলে ভারতকে চাপে ফেলে দেওয়া যাবে। কিন্তু ভারতের ওপেনাররা ছিল অভিজ্ঞ। ওরা বোলারদের থিতু হতে দেয়নি। আর পিচ থেকেও বোলাররা কোনও সাহায্য পায়নি। একবার ভালো শুরর পর ওদের থামানো মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। ওরা এত বেশি রান তুলে ফেলেছিল যে, পাকিস্তানের আর কিছু করার ছিল না।
২০০৩-এর বিশ্বকাপে যে পাক দল ভারতের কাছে হেরেছিল, সেই দলে ছিলেন ওয়াকার। সেই ম্যাচেরও স্মৃতিচারণ করেছেন ওয়াকার। পাকিস্তান ভারতের সামনে ২৭৫ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। কিন্তু সচিন তেন্ডুলকরের বিধ্বংসী ৯৮ রানের ইনিংস বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ের খরা কাটানোর স্বপ্ন বিলীন করে দিয়েছিল। ভারত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। সচিনের সেই ইনিংসকে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে অভিহিত করেছেন ওয়াকার।
প্রাক্তন পাক ফাস্ট বোলার বলেছেন, ২০০৩-এ সচিনের সেই ইনিংস ভাষা দিয়ে বর্ণনা করা যায় না। কারণ, ভারত খুবই চাপে ছিল। আর আমাদের বোলিং অ্যাটাক ছিল খুবই ভালো। সচিনকে জিজ্ঞাসা করলে ও-ও হয়ত একই কথা বলবে। ওটা ছিল সম্ভবত অন্যতম সেরা ইনিংস। চাপের মুখে যেভাবে ও আমাকে, শোয়েব আখতার ও ওয়াসিম আক্রামকে আক্রমণ করে শুরু থেকেই রানের গতি বাড়িয়েছিল, তা চমকপ্রদ। আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস।
খেলা (sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -