সিডনি:  বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির  পরবর্তী পর্বে ব্যক্তিগত জীবনে বড়সড় আঘাতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল  অস্ট্রেলিয়ার নির্বাসিত ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যানডিস জানিয়েছেন,  বল বিকৃতি কেলেঙ্কারি ঘটনার পর তাঁর গর্ভপাত হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ চলার সময় বল বিকৃতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় যুক্ত ওয়ার্নার, তত্কালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং ব্যানক্রফ্টকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দেশে ফিরে সাংবাদিক বৈঠকে কেঁদে ফেলেছিলেন ওয়ার্নার। সিডনির ওই সাংবাদিক বৈঠকের এক সপ্তাহ পরে তাঁর গর্ভপাত হয় বলে জানিয়েছেন ক্যানডিস।
বলবিকৃতি কেলেঙ্কারির পরবর্তীপর্বের চাপ ও বিমানযাত্রার ধকলকেই গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ বলে জানিয়েছেন ক্যানডিস। সেই সময়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন ক্যানডিস।
দেশের একটি মহিলাদের ম্যাগাজিনকে সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে ক্যানডিস বলেছেন, আমি বাথরুমে ডেভিডকে ডাকলাম, বললাম আমার রক্তপাত হচ্ছে। আমরা একে অপরকে জড়িয়ে কেঁদেছিলাম।
ক্যানডিস বলেছেন, অসহনীয় ঘটনার পর গর্ভপাতের ওই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বলবিকৃতি ঘটনার পর চরম লাঞ্ছণা এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। ওই সময় থেকে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এরপর থেকে আরও কোনওকিছুরই প্রভাব নিজেদের জীবনে পড়তে দেবেন না।
ওয়ার্নার ও ক্যানডিসের দুই সন্তান রয়েছে- আইভি মায়ে (৩) এবং ইন্ডি রায়ে (২)। ক্যানডিসের দাবি, তিনি যে আবার অন্তঃসত্ত্বা তা কেপটাউনে জানতে পেরেছিলেন ওয়ার্নার।
ক্যানডিস বসেছেন, আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম।


দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের শুরু থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। প্রথম টেস্টে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে বচসার পর ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে খেলা অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল। ওয়ার্নার দাবি করেছিলেন, ডি কক তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে অভব্য মন্তব্য করেছিলেন। ক্যানডিস বলেছেন, ওই ঘটনার পর বোঝা উচিত ছিল যে, সবকিছু ঠিকঠাক হবে না।

ক্যানডিস বলেছেন,তৃতীয় টেস্ট চলাকালে দুই সন্তানের সঙ্গে টিভি দেখতে দেখতে তিনি বল বিকৃতির খবর জানতে পেরেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর স্বামী স্মিথ ও ব্যানক্রফ্টের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে অন্য উড়ানে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। যে পথে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়, সেটি দীর্ঘতম ও কঠিন ছিল বলে দাবি ক্যানডিসের। তিনি আরও বলেছেন, 'কেউ জানত না যে আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসতে ডেভিড সব ধরনের চেষ্টা করেছিল। কারণ, ও বুঝতে পেরেছিল যে, আর বেশি কোনও চাপ পড়লে আমার গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। ২৩ ঘন্টার বিমান যাত্রার পর দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমে লোকজন দেখে আরও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম'।