নাইট-বধের নায়ক অবশ্য ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফাঁস করলেন অবাক করে দেওয়ার মতো তথ্য। রাবাডা জানতেনই না যে তাঁকেই সুপার ওভারে বল করার দায়িত্ব সামলাতে হবে! বরং দলের জয় নিয়ে তিনি এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, ডাগ আউট থেকে ড্রেসিংরুমে গিয়ে বসেছিলেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের ট্রাউজার্স ছেড়ে শর্টস পরে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাবাডা বলেন, ‘আমি সতীর্থ শিখর ধওয়নের সঙ্গে দোতলার ড্রেসিংরুমে বসেছিলাম। আমরা আলোচনা করছিলাম যে, ম্যাচটা আমাদের হাতের মুঠোয়। তবে কথায় আছে না ক্রিকেট মজার খেলা! তাই শিখরকে বলি, চলো নীচে গিয়ে সতীর্থদের উৎসাহ দিই।’
সুপার ওভারে চারটি বিষাক্ত ইয়র্কার বেরিয়েছিল তাঁর হাত থেকে। যার মধ্যে একটিতে রাসেলের মিডল স্টাম্প ছিটকে দেন। রাবাডা বলেছেন, ‘আমি শর্টস পরে বসেছিলাম। ম্যাচ টাই হল। আমি অপেক্ষা করছিলাম কে সুপার ওভারটা করে দেখার জন্য। তখনই জেমস হোপস বলেন, যাও তৈরি হয়ে এস। আমি দোতলায় গিয়ে ট্রাউজার্স পরে আসি। তবে তখনও নিশ্চিত ছিলাম না আমাকে বল করতে হবে কি না। কারণ, ক্রিস মরিসও তৈরি ছিল। আমার মনে হয়েছিল আমি বা মরিস বা সন্দীপ লামিছানে – কেউ একজন দায়িত্ব পাবে। শেষ পর্যন্ত আমিই পেলাম। বুঝতে পারলাম খুব তাড়াতাড়ি আমাকে পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলতে হবে।’
রাবাডার ইয়র্কারের ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত ফিরোজ শাহ কোটলায় কেকেআরের স্বপ্নভঙ্গ হল। আর নাটকীয়ভাবে তিন রানে ম্যাচ জিতে দিল্লি ফের ভেসে উঠল পয়েন্ট টেবিলে।