সেন্টপিটার্সবার্গ: সাংবাদিক রামা প্যানট্রোট্টোর সঙ্গে এর আগে কোনওদিন দেখা হয়নি আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচ ড্র হওয়ার পর ওই সাংবাদিক ছোট্ট একটা লাল রিবন মেসির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওই পেঁচার ছবি আঁকা ওই রিবনটা পাঠিয়েছিলেন প্যানট্রোট্টোর মা। আর ওই রিবনটাই কি বিশ্বকাপে ৩১ বছরের ফুটবল তারকার সাফল্য ফিরিয়ে এনেছে?
গ্রুপ লিগে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করেন মেসি। পরের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে বিপর্যস্ত হয়েছিল নীল-সাদা জার্সি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ জিতেছে মেসির দল। ওই ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন মেসি। প্রবল চাপের মুখে মেসি প্রমাণ করেছেন, কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলা হয়।
ওই ম্যাচের পর প্যানট্রোট্টো বার্সা তারকার কাছে জানতে চান যে, যে মাদুলিটা দিয়েছিলেন, সেটাকে এখনও কি তাঁর কাছে রয়েছে।
স্প্যানিশ ভাষায় দুজনের কথাবার্তা যেভাবে হয়-




প্যানট্রোট্টো: প্রথম ম্যাচে আমি তোমাকে আমার মায়ের দেওয়া একটা জিনিস দিয়েছিলাম। আমি জানি না, তুমি ওটা রেখেছো, না ফেলে দিয়েছো।
মেসি :অবশ্যই (বাঁ পায়ের মোজা নামিয়ে পেঁচার ছবি আকা একটা লাল রিবন দেখান)
প্যানট্রোট্টো:তুমি ওটা পায়ে বেঁধে রেখেছিলে?
মেসি : হ্যাঁ, তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ো...এটা..
প্যানট্রোট্টো: আমার সঙ্গে মজা করছো না তো?আমার তো হৃদস্পন্দন থমকে যাওয়ার যোগাড়!সত্যি। আচ্ছা দাঁড়াও! তুমি কি বাঁ পায়ে গোল করেছ?
মেসি : না ডান পায়ে, যদিও যাইহোক...
প্যানট্রোট্টো: তুমি ডানপায়ে গোল করেছ, কিন্তু এটা কোনও ব্যাপার নয়।
মেসি : ঠিক আছে, এটা আমাকে সাহায্য করেছে।
এই কথাবার্তার পরই আবেগাপ্লুত ওই সাংবাদিক ক্যামেরার দিকে ফিরে বলেন, মা, ও তোমার রিবনটা ওর পায়ে রেখেছে। তোমাকে ধন্যবাদ!
ওই সাংবাদিক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, আমার মা মেসিকে একটা উপহার পাঠিয়েছিলেন। মেসি সেটি বাঁ পায়ের গোড়ালির সঙ্গে বেঁধে রেখেছে। আমার চোখে জল চলে এসেছে।