ক্রিকেটারদের ফিটনেসের প্রমাণ দিতে ইয়ো ইয়ো টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব। তাঁর সাফ কথা, এই পরীক্ষা কোনও ক্রিকেটারের ফিটনেস ও পিচে দক্ষতার একমাত্র মাপকাঠি হওয়া উচিত নয়।
উল্লেখ্য, ইয়ো ইয়ো টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের ইংল্যান্ড সিরিজের দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন অম্বাতি রায়ডু ও মহম্মদ সামি। এ ব্যাপারে কপিল বলেছেন, ভারতীয় দলে সঠিক ক্রিকেটার বাছাইয়ের ব্যাপারে এই পরীক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি বলা যায় না।
ইয়ো ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে দলে প্লেয়ার বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, প্রত্যেক প্লেয়াররই ফিটনেসের মাণ এই একটি মাত্র টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করা উচিত নয়।
প্রাক্তন পেসারের মতে, বোলারদের পক্ষে এই টেস্ট সফল হওয়া সহজ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কিছুটা কঠিন। তাঁর আরও যুক্তি, কোনও প্লেয়ার এই টেস্টে যথাযথভাবে পারফর্ম করতে না পারলে, তার অর্থ এই নয় যে, তিনি মাঠে খারাপ খেলবেন।
নিজের এই যুক্তির সমর্থনে কপিল কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই প্লেয়াররা হয়ত ওই পরীক্ষায় উতরোতে পারতেন না। কিন্তু তাঁরা দলের অন্যতম সেরাদের তালিকাতেই ছিলেন। কপিল বলেছেন, 'ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে সুনীল গাওস্কর হয়ত টানা ১৫ মিনিট দৌড়তে পছন্দ করতেন না। কিন্তু তিনি টানা তিনদিন ব্যাট করে যেতে পারতেন। এমনকি, অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো ক্রিকেটাররাও এই পরীক্ষায় হয়ত সফল হতেন না। কিন্তু তাঁরা ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যেই পড়েন'।
নিজের বক্তব্যের পক্ষে তাঁর সওয়াল, ফুটবল কিংবদন্তী দিয়েগো মারাদোনা দ্রুত দৌড়তে পারতেন না। কিন্তু পায়ে বল পেলে তিনিই সবচেয়ে দ্রুত দৌড়তেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী কিন্তু এই টেস্টকে অপরিহার্য বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা এই টেস্টে ব্যর্থ হবেন, তাঁরা দলে সুযোগ পাবেন না।