চেন্নাই: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জন্ম রাঁচিতে। কর্মসূত্রে কিছুদিন ছিলেন খড়গপুরে। কিন্তু চেন্নাই তাঁর কাছে স্পেশাল। আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক থাকার সুবাদে তিনি দক্ষিণ ভারতের এই শহরের ক্রিকেটপ্রমীদের কাছে নায়ক। দু’বছর রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেললেও, এখনও চেন্নাইয়ের মানুষের হৃদয়ে ধোনি। রবিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সেটাই দেখা গেল। তিনি ব্যাট করতে নামার সময় সব দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে ধোনিকে স্বাগত জানালেন। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে কোণঠাসা অবস্থা থেকে ভারতকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে দর্শকদের অভিবাদনের যোগ্য প্রতিদান দিলেন ধোনি।


গতকালের ম্যাচে ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। ৬৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধোনি ব্যাট করতে নামেন। প্রথমে কেদার যাদব ও পরে হার্দিক পাণ্ড্যকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে বড় রানে পৌঁছে দেন ধোনি। তিনি ৭৯ রানের দায়িত্ববান ইনিংস খেলেন। হার্দিকের সঙ্গে ধোনির ১১৮ রানের পার্টনারশিপই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।

আট বছর চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক ছিলেন ধোনি। দু’বার আইপিএল জেতা ছাড়াও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০ খেতাব জেতে চেন্নাই। স্বভাবতই চিপক ধোনির ঘরের মাঠ হয়ে গিয়েছে। সেখানেই ফের অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি।

ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ প্রসঙ্গে হার্দিক বলেছেন, ৮৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই সময় বড় পার্টনারশিপ দরকার ছিল। তিনি ও ধোনি একে অপরের সঙ্গে কথা বলে ব্যাটিংয়ের কৌশল ঠিক করছিলেন। প্রথমে তাঁরা ২৩০ রান করার লক্ষ্যে ব্যাট করছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাল্টা চাপে ফেলার জন্য তিনি বড় শট খেলা শুরু করেন। এর ফলেই স্কোর ২৮১ হয়ে যায়।