ম্যাঞ্চেস্টার: এবারের বিশ্বকাপে ঝুড়ি ঝুড়ি রান উঠবে বলেই সবাই ভেবে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজে রানের বন্যার পর এমনটাই সবাই ভেবে নিয়েছিলেন।
কিন্তু বাস্তবে কোনও কোনও ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের সহায়ক পিচ থাকলেও বোলাররাও অনেক ক্ষেত্রেই পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছেন। এক্ষেত্রে আইসিসি-র ভূমিকার প্রশংসা অনেকেই করেছেন। বোলারদের জন্যও পিচে রসদ থাকায় বিভিন্ন ম্যাচে লড়াই রীতিমতো জমজমাট হয়েছে। তবে এরপর থেকে পরিস্থিতিটা বদলে যাবে। ফলে  পক্ষে কাজটা শক্ত হয়ে উঠবে। এমনটাই মনে করছেন ভারতের ফাস্ট বোলার জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র মনে করছেন, টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সময় যে রকম ছিল, তখনকার তুলনায় উইকেট মন্থর হয়ে উঠেছে। রান তোলাটা সহজ হবে না এ ধরনের উইকেটে।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে তিনি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ওই ম্যাচে ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক যতটা ভেবেছিল ততটা মন্থর হয়নি উইকেট। তবে পেস কমে গিয়েছিল।
বুমরাহ বলেছেন, কোনও কোনও দিন কোনও বোলার মার খেতেই পারেন। ভালো খেললে কোনও ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। তবে সামগ্রিকভাবে উইকেট ক্রমশ মন্থর হয়ে উঠছে।
ঢিমে গতির উইকেটেও ভারতীয় অ্যাটাক চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম বলে মনে করেন বুমরাহ। তিনি বলেছেন, দলের প্রত্যেকেই প্রচুর দায়িত্ব নিচ্ছে। এটা খুব ভালো। কারণ, এতে সবাই আরও বেশি করে চেষ্টা করবে। সবাই যে ভালো পারফর্ম করছে এবং অবদান রাখছে, এতে আমরা খুশি। মহম্মদ শামি, হার্দিক পান্ড্য এবং আমি উইকেট নিয়েছি। এটা খুবই ইতিবাচক লক্ষ্মণ। এটা খুবই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা এবং সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমনটাই কাম্য।
আইসিসি সিইও ডেভ রিচার্ডসনও বলেছেন, শুধুমাত্র ব্যাটসম্যানরাই যাতে সুবিধা না পায় এবং বোলারদের জন্যও যাতে কিছু থাকে, সেজন্য সচেতনভাবে ভারসাম্য বজায় চেষ্টা করা হয়েছে।