গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ক্রিস গেইল ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে অনফিল্ড আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। আর দুবারই থার্ড আম্পায়ার রিভিউতে এই সিদ্ধান্ত নাকচ করেন।
২১ রানে গেইল আউট হওয়ার আগের বলে মিচেল স্টার্কের নো-বল নজর এড়িয়ে যায় আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির। এই ঘটনাও ক্যারিবিয়ান শিবিরকে ক্ষুব্ধ করেছে।
ওই বলটি নিউজিল্যান্ডের আম্পায়র নো ডাকলে পরের বলে ফ্রি-হিট পেতেন গেইল।
গ্যাফানি ও শ্রীলঙ্কার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে তাঁদের কাজটা যথাযথভাবে করার চেষ্টা করছেন বলে স্বীকার করেও নটিংহ্যামে ১৫ রানে হারের পর আম্পায়ারিং নিয়ে বিরক্তি ঢাকতে পারলেন না ব্রেথওয়েট। ম্যাচের পর তিনি বললেন, আম্পায়ারিং কিছুটা হতাশা জনক হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। জানি না, এ কথা বললে আমার জরিমানা হবে কিনা। আমাদের বোলিংয়ের সময়ও মাথার উচ্চতার কিছু বল ওয়াইড ডাকা হয়েছে। এবং যত দূর মনে পড়ছে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, এটা খুবই হতাশাজনক এবং ড্রেসিংরুমে অসন্তোষ তৈরি করেছে। ২৮০ রান তাড়া করার ক্ষেত্রে গেইল আউট হয়ে যাওয়ায় যে রকম শুরুটা আমরা চাইছিলাম, তা পাইনি। তবে আম্পায়াররা তাঁদের কাজ করেছেন, তাঁরা এক্ষেত্রে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং আমরা প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা ভালো করে করতে চাই। আর তাই প্লেয়ার ও আম্পায়ারদের মধ্যে কোনও সংঘাত নেই।
তিনটি বলের মধ্যে গ্যাফানি গেইলের বিরুদ্ধে দুইবার আঙুল তোলেন, অন্যদিকে হোল্ডারের বিরুদ্ধে দুবার পাল্লিয়াগুরুগের সিদ্ধান্ত রিপ্লেতে নাকচ হয়ে যায়।
একইসঙ্গে ব্রেথওয়েট আম্পায়ারিংকে তাঁদের হাতেত অজুহাত হিসেবে তুলে ধরতে চাননি। তবে তিনি বলেছেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ফলে তাঁদেরকেই বেশিরভাগ রিভিউ চাইতে হয়েছে। প্রতিপক্ষ দলের রিভিউ চাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্যাডে বল লাগলেই আম্পায়ারের আঙুল উঠেছে। কিন্তু তাঁদের বোলিংয়ের সময় বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের প্যাডে বল লাগলেও আঙুল ওঠেনি। তাই তাঁদের রিভিউ ব্যবহার করতে হয়েছে।
অন্যদিকে, টেলিভিশনে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে আম্পায়ারিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন হোল্ডিং। তিনি বলেছেন, এই ম্যাচে আম্পায়ারিং খুবই খারাপ।
৬৫ বছরের প্রাক্তন বিধ্বংসী বোলার বলেছেন, অজিদের নাগাড়ে আবেদনে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন দুই আম্পায়ার গ্যাফানি ও পাল্লিয়াগুরুগে।