মুম্বই: সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফিটনেস সংক্রান্ত একটি প্রচার অভিযানের জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা সচিন তেন্ডুলকর। শেষপর্যন্ত এই প্রচার অভিযান প্রত্যাহার করতেও বাধ্য হলেন তিনি।


ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সচিন বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেইসঙ্গে মাঝেমধ্যে কিছু বিজ্ঞাপনেও তাঁকে দেখা যায়।

গত মঙ্গলবার সচিন ট্যুইট করে বলেন যে, ‘আপনার কি এমন বন্ধু রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন অজুহাতে ফিটনেস সংক্রান্ত পরিশ্রম করতে আগ্রহী নন? তাহলে তাঁদের #NoExcuses ব্যবহার করে তাঁদের ট্যাগ করুন এবং তাঁদের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন। তাঁদের উত্সাহিত করতে আমি কথা বলতে পারি’।

সচিনের এই বার্তার পরই শয়ে শয়ে লোকজন তাঁদের বন্ধুদের নাম, ধাম, মোবাইল নম্বর জানিয়ে ট্যুইট করতে থাকেন। কেউ কেউ নিজেরই বিস্তারিত তথ্যও দিয়ে দেন।

সচিন সদুদ্দেশে মেসেজটি পোস্ট করলেও এ ধরনের একটি প্রকাশ্য ও সহজলভ্য প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য জানানোর ফলাফলের বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

ট্যুইটারের নীতি অনুযায়ী, গ্রাহকদের এ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার অনুমতি নেই।

অন্য কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য পোস্ট করা ট্যুইটারের নীতির বিরুদ্ধে। কারুর ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য, জাতীয় পরিচয় পত্র, ঠিকানা বা অবস্থান, ব্যক্তিগত ফোন নম্বরের মতো তথ্যকে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই অবস্থায় সোমবার সন্ধেতেই নিজের ট্যুইট বার্তাটি মুছে ফেলতে হয় সচিনকে।