কলকাতা: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) ওপর নেমে এসেছে ফিফার নির্বাসনের খাঁড়া। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফের প্রশ্ন উঠছে, ক্রীড়া সংস্থাগুলির ওপর কেন থাকবে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ?


সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাজে ‘তৃতীয় পক্ষ’ অর্থাৎ কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের হস্তক্ষেপকে নীতি-বিরুদ্ধ আখ্যা দিয়ে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে FIFA। নির্বাসনে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন। যার পরে, ভারতীয় ফুটবলে রাজনীতির অনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলরারা।


ভারতে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাগুলির মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণ নতুন বিষয় নয়। প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পরে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের সভাপতি NCP নেতা প্রফুল্ল পটেল। নির্বাচন না করিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে ফেডারেশনের সভাপতির পদ আঁকড়ে রাখার অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে এত জটিলতা এবং শেষমেষ FIFA’র কোপে পড়া। আর তা নিয়েই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দোষারোপের পালা 


এর আগে একই অভিযোগে ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ওপরেও নেমে এসেছিল নির্বাসনের শাস্তি। এবার ফিফার কোপে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, পদ আঁকড়ে রাখার প্রবণতার জেরেই কি ক্রীড়া সংস্থাগুলিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অনীহা?


শেষ অবধি কি দ্রুত ভোট করিয়ে নির্বাসন কাটাতে পারবে AIFF? না কি ভারতীয় ফুটবল আরও আঁধারে তলিয়ে যাবে? নেপথ্যে কি সেই রাজনীতি?


কিন্তু নির্বাসন যদি বহাল থাকে, তাহলে প্রবলভাবে ভুগতে হবে ভারতীয় ফুটবলকে-



  • ভারতে নির্ধারিত অনূর্ধ্ব -১৭ মহিলা বিশ্বকাপ স্থগিত হতে পারে। আপাতত তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।

  • আপাতত কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না ভারতীয় ফুটবল দল।

  • ফিফার নির্বাসন বহাল থাকলে ভারতীয় ফুটবল দলের র‍্যাঙ্কিং ফের শূন্য থেকে শুরু হবে।

  • কোনও ক্লাবই কোনও বিদেশি ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না।

  • যে বিদেশি ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই সই করেছেন, তাঁরা অন্য কোনও দেশে খেলতে পারবেন না।


প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই AIFF-এর সংবিধান সংশোধন করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ৩ সদস্যের প্রশাসক কমিটি গড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। স্বয়ংশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার আইন বিরুদ্ধ। সেই কারণেই প্রশাসক কমিটির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ফিফা।