বেঙ্গালুরু: আগ্রাসন-ই চালিত করে বিরাটকে। আগ্রাসী মনোভাবের জন্যই আজ এত সফল কোহলি। তাই তাঁর আগ্রাসনকে দমানোর কোনও চেষ্টা করা হবে না বলেই আশ্বাস দিলেন টিম ইন্ডিয়ার নতুন ‘হেডস্যর’ অনিল কুম্বলে। যদিও, একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ক্রিকেটাররা হলেন দেশের দূত। সেটা যেন কেউ ভুলে না যান।

সোমবারই শেষ হল টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলন শিবির। কোহলির নেতৃত্বে এবার ভারতীয় দল রওনা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে ক্যারিবিয়ান-বাহিনীর বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। প্রসঙ্গত, টিম ইন্ডিয়ার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই কুম্বলের প্রথম পরীক্ষা।

এদিন প্রথামাফিক সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কোহলির আক্রমণাত্মক মেজাজকে সমর্থন করে কুম্বলে জানিয়ে দেন, আমি ওঁর আগ্রাসনকে ভালবাসি। কারণ, আমিও অনেকটাই আগ্রাসী ছিলাম। তবে, তুলনামূলকভাবে মাঠে আমাদের দুজনের আগ্রাসনের অভিব্যক্তি ছিল আলাদা। কুম্বলে আশ্বাস দেন, কোহলির আগ্রাসনকে রোখার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। তিনি সেখানে হস্তক্ষেপ করবেনও না।

যদিও একইসঙ্গে, দলের ‘হেডস্যর’ হিসেবে আগ্রাসনের সীমা নিয়ে তিনি ‘ছাত্রদের’ সতর্ক করে দেন। কুম্বলে বলেন, আমরা সকলেই জানি দেশের দূত হওয়া এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করা কতটা গুরুত্বের। এই দুয়ের (আগ্রাসন এবং দুর্ব্যবহারের মধ্যে) তফাতটা খুবই ক্ষীণ। এটা দলের সকলেই বোঝে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে বলতে গিয়ে কুম্বলে জানান, খেলার আগে দায়িত্ব কোচের। তবে মাঠে ভাবতে হয় ক্রিকেটারদের। দেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী বলেন, কোচ হিসেবে আপনি সবসময়ই চাইবেন দল জিতুক। সেই মতো নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে তৈরি করা কোচের দায়িত্ব। খেলার আগে দল যাতে সবদিক দিয়ে প্রস্তুত থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হয়। তবে, মাঠে দক্ষতা ও কৌশল দিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করাটা প্রয়োজন।

তবে, তাঁর বিশ্বাস, আগামী কয়েক মাসে তাঁর দল বেশ কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ফলে, কোনও খামতি থাকলে তা অতিক্রম করাটা সহজ হবে। প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে অ্যাওয়ে সিরিজের পর, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলবে কোহলি-বাহিনী।