লন্ডন: উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসের ফাইনালে আজ নামবেন অনস জ়েবার ও মার্কেতা ভন্দ্রৌসোভা। ২ জনের কেউই এর আগে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হননি। সেক্ষেত্রে এবারের মহিলাদের সিঙ্গলস নতুন কারও হাতে উঠতে চলেছে। ধারেভারে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছেন অনস। গতবারও ফাইনালে উঠেছিলেন তিউনেশিয়ার টেনিস সুন্দরী। কিন্তু রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে ভন্দ্রৌসোভা ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনও অবাছাই প্লেয়ার যিনি উইম্বলডনের ফাইনাল খেলতে চলেছেন। চেক টেনিস সুন্দরী এর আগে ২০১৯ সালে ফরাসি ওপেনে রানার্স আপ হয়েছিলেন। 


সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কার বিরুদ্ধে অনস জয় ছিনিয়ে নেন। খেলার ফল তিউনেশিয়ার প্রতিযোগীর পক্ষে ৬ (৫)-৭(৭), ৬-৪, ৬-৩। প্রথম সেটে হেরে গিয়েও পরের দুটি সেট জিতে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করলেন ষষ্ঠ বাছাই জ়েবার। এদিন প্রায় ২ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের লড়াই শেষে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। গতবারই উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছিলেন তিউনেশিয়ার টেনিস সুন্দরী। কিন্তু রানার্স আপ হতে হয়েছিল তাঁকে। ফাইনালে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। ইউ এস ওপেনের ফাইনালেও হেরে রানার্স আপ হতে হয় তাঁকে। এবার আরো একবার খেতাব জয়ের সুযোগ তাঁর সামনে। 


অন্য় সেমিফাইনালে মার্কেতা ভন্দ্রৌসোভা হারিয়ে দিলেন এলিনা স্ভিটোলিনাকে। খেলার ফল মার্কেতার পক্ষে ৬-৩, ৬-৩। একেবারে স্ট্রেট সেটে জয় ছিনিয়ে নেন চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিস প্লেয়ার। ২০১৯ সালে শেষবার গ্র্যান্ডস্লামের মঞ্চের ফাইনালে উঠেছিলেন। চার বছর পর এবার খেতাব জয়ের সুযোগ তাঁর সামনে। 


ফাইনালে জোকার


টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই তাঁকে ফেভারিট হিসাবে গণ্য করা হচ্ছিল। নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic) শুক্রবার, ১৪ জুলাই, অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্টে প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশ এ বারের উইম্বলডন (Winbledon 2023) জয়ের সবথেকে বড় দাবিদার বলে মনে করছেন। সেমিফাইনালে ইয়ানিক সিনারকে স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিয়ে পৌঁছে গেলেন নাগাড়ে নিজের পঞ্চম উইম্বলডন ফাইনালে। ২১ বছর বয়সি সিনারকে ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ (৪) স্কোরলাইনে, স্ট্রেট গেমে হারান জকোভিচ।



ম্যাচে শুরুতেই দুই সেটে সিনারের সার্ভিস ব্রেক করতে সক্ষম হন জকোভিচ। সিনারকে লড়াই করার তেমন কোনও সুযোগই দেননি সার্বিয়ান। তৃতীয় সেটে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেন বটে, তরুণ তুর্কি, তবে তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেট টাই ব্রেকার পর্যন্ত গড়ায় এই যা। জকোভিচ অবশ্য গোটা বছর জুড়েই টাই ব্রেকারে অপ্রতিরোধ্য। এদিনও তাই হল। ১-৩ পিছিয়ে পড়েও শেষ সাত