সিলেট: শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তমবার এশিয়া কাপ খেতাব জিতে নিল ভারতীয় দল। দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানেই আটকে দেওয়ার পর ৬৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। বল হাতে রেণুকা সিংহের দাপটের পর ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুরন্ত অর্ধশতরান করেন ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana)।
৬৬ রানের লক্ষ্য একেবারেই বেশি ছিল না। রান তাড়া করতে জিততে বেশি কসরতও করতে হল না ভারতীয় দলকে। শেফালি ভার্মা অবশ্য এদিন রান পাননি। তিনি মাত্র পাঁচ রানেই সাজঘরে ফেরেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক জেমাইমাও দুই রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অপরপ্রান্তে স্মৃতি কার্যত একাই ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে দেন। ২৫ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ইনিংস
সেমিফাইনালে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে দুরন্ত জয় পেয়েছিল ভারত। সেই একাদশ থেকে একটি বদল করে এদিন মাঠে নামে ভারত। রাধা যাদবের বদলে ফাইনালে ভারতীয় একাদশে ফেরেন হেমলতা। এদিন টসে জেতেন চামারি। বড় ম্যাচে প্রথমে বোর্ডে রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলারই পরিকল্পনা করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই লক্ষ্যেই টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চামারি। তবে শ্রীলঙ্কান দলের শুরুটাও ভাল হয়নি। ১০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। নতুন বল হাতে আগুন ঝরান রেণুকা ঠাকুর (Renuka Thakur)।
তিনি শুরুতেই তিন তিনটি উইকেট নেন। শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়ার পর গোটা ইনিংসে কোনও সময়ই সেই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা। নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন তাঁরা। রেণুকার পর বল হাতে দাপট দেখান ভারতীয় দলের স্পিনাররা। রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় এবং স্নেহ রানা শ্রীলঙ্কা দলকে চাপমুক্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ দেননি। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র দুইজনই দুই অঙ্কের রান করতে পারেন।
সাত নম্বরে ব্যাটে নামা ওশাদি ফার্নান্ডো ১৩ রান করেন। দশে নামা ইনোকা রানায়িরা লঙ্কান দলের হয়ে সর্বাধিক ১৮ রান করেন। লঙ্কান অধিনায়ক ওশাদি এদিন ছয় রানের বেশি করতে পারেননি। নিজেদের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করলেও নয় উইকেটে ৬৫ রানেই থামল লঙ্কান ইনিংস।