নয়াদিল্লি: ‘যে অধিনায়ক সে সবসময়ই অধিনায়ক’। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সম্পর্কে এমনটাই মনে করেন সুরেশ রায়না। তিনি মনে করেন, কাগজে-কলমে না থাকলেও মাঠেই ধোনি নেতাই।
তিন বছর আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ধোনি। ২০১৭ তে একদিন ও টি ২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও ভারতীয় দলের ক্রিকেট মস্তিষ্ক তিনি। আর এই কথাটা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বয়ং টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলিও।
একটা টিম ইন্ডিয়ার সহ খেলোয়াড় সম্পর্কে রায়না বলেছেন, কাগজে-কলমে ও হয়ত অধিনায়ক নয়। আমি মনে করি ও-ই বিরাটের অধিনায়ক। ওর ভূমিকা একই রয়ে গিয়েছে। স্ট্যাম্পের পিছন থেকে ও বোলারদের পরামর্শ দেয়, ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয়। ও অধিনায়কদের অধিনায়ক। স্ট্যাম্পের পিছনে ধোনি থাকলে বিরাট আত্মবিশ্বাসী থাকে। বিরাট সবসময়ই তা স্বীকার করে।
রায়না মনে করছেন, আগামী বিশ্বকাপটা বিরাটের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক সময়ের ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, বিরাট খুবই আত্মবিশ্বাসী। ওর কাছে এই বিশ্বকাপটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ও নিজের ভূমিকাটা খুব ভালো বোঝে। অন্য প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস যোগানোর কাজটা করতে হবে ওকে। সবকিছুই আমাদের পক্ষে রয়েছে। তাই উদ্দেশ্যটা ইতিবাচক হতে হবে। বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এটাই সেরা দল।
আগামী বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে হার্দিক পান্ড্যকে তুরুপের তাস হিসেবে বেছে নিয়েছেন রায়না। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, হার্দিক ফিল্ডিং ও বোলিংটা ভালো করতে পারে, ৬-৭ গুরুত্বপূর্ণ ওভার বোলিংও করতে পার। যে কোনও পজিশনে ও ব্যাট করতে সক্ষম। নিজেকে তুলে ধরতে ওর ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে প্রচুর আস্থার প্রয়োজন। আর আইপিএলে যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও খেলেছে, সেভাবেই ও বিশ্বকাপে খেলতে পারে। ও ম্যাচের রঙ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারত। রায়না মনে করেন, বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসারদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার টিম ইন্ডিয়ার। তিনি বলেছেন, আমাদের বোলিং লাইনআপে কোনও বাঁহাতি পেসার নেই।২০১১-তে আমাদের দলে ছিল জাহির খান, আশিষ নেহরার মতো পেসার। এবার ভারতীয় দল খলিল আহমেদকে অনুশীলনের সময় ডেকেছে। কিন্তু ওদের আরও বেশি করে বাঁহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে খেলা দরকার। আমাদের দলে বাকি সবকিছুই ঠিকঠাক।