মুম্বই : আট নম্বর সাক্ষাতে শেষমেশ পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়েছে আফগানিস্তান (Pakistan vs Afghanisthan)। তাও বিশ্বকাপের (World Cup 2023) মেগা ডুয়েলে। এর আগে ৭ টি একদিনের ম্যাচে মুকোমুখি হয়েছিল দুই দল, আর যার প্রত্যেকটিতেই জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বড় মঞ্চে তাদের ৮ উইকেটে টেক্কা দিয়ে চমক দিয়েছে আফগানরা। আর আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তান দল হারার পর থেকেই একের পর এক কটাক্ষ, মসকরায় বিদ্ধ (Meme) হচ্ছেন বাবর আজম-হ্যারিস রউফরা।
কারোর খোঁচা, ক্রিকেটের মঞ্চে এবার পাকিস্তানের ওপর সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছে। কারোর আবার খোঁচা, এক নম্বর ব্যাটার বাবর আজম সহ গোটা পাক শিবিরের 'বেইজ্জতি' করে দিয়েছেন রশিদ খান-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়। কেউ কেউ আবার পাক দলের প্রাক্তনীদের বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে ফেলতে হয়েছে বলেই খোঁচা অনেকের। কোনও মিমে আবার খোঁচা, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেশকে যে ক্রিকেটভক্তরা সমর্থন এতদিন পর্যন্ত করছিলেন, সেই পাকিস্তানের সমর্থকরা এবার জার্সি গুটিয়ে আলমারিতে তুলে রাখবেন।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজ়ম (Babar Azam)। যিনি নিজে এই ম্যাচে রানের মধ্যে ফিরলেন। আর এমন এক ম্যাচে ছন্দে ফিরলেন বাবর, যা পাকিস্তানের ক্রিকেটে কলঙ্ক বয়ে আনল।
চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের (PAK vs AFG) বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৭৪ রান করলেন পাক অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরি ওপেনার আবদুল্লা শফিকেরও। ৫৮ রান করলেন তিনি। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে রান পেলেন শাদাব খান ও ইফতিকার আমেদও। ৩৮ বলে ৪০ রান করলেন শাদাব। ২৭ বলে ৪০ রান ইফতিকার আমেদের। দুজনকেই শেষ ওভারে ফেরান নবীন উল হক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২৮২/৭।
লক্ষ্য ছিল ২৮৩ রানের। যে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ওপেনাররাই তুলে দিলেন ১৩০ রান। গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল রহমানুল্লাহ গুরবাজ়কে। পাক বোলিংকে কোণঠাসা করে ফেলার কাজটা শুরু করলেন তিনিই। ৫৩ বলে ৬৫ রান করলেন। সঙ্গী ওপেনার ইব্রাহিম জাদ্রান তুলনামূলকভাবে ছিলেন সংযত। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল। ১১৩ বলে ৮৭ রান করেন তিনি। ওপেনাররাই জয়ের ভিত গড়ে দেন। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ম্যাচ বার করে আনেন রহমত শাহ ও আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি। ৮৪ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রহমত। হাশমাতুল্লাহ ৪৫ বলে ৪৮ রান করে ক্রিজে ছিলেন। ১ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যপূরণ আফগানিস্তানের।