মুম্বই: গুজরাত জায়ান্টস (Gujarat Giants) ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore), দুই ফ্রাঞ্চাইজি মরসুমের প্রথম দুই ম্যাচেই পরাজিত হয়েছিল। আজ ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে তাই প্রথম জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে দুই দলই মাঠে নেমেছিল। শেষমেশ সোফিয়া ডাঙ্কলির বিধ্বংসী ৬৫ রানের ইনিংস ও হরলীন দেওলের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে জয় পেল গুজরাত। সোফি ডিভাইনের দুরন্ত অর্ধশতরান সত্ত্বেও ১১ রানে পরাজিত হল আরসিবি।
সোফিয়া ঝড়
ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত অধিনায়ক স্নেহ রানা। এই ম্যাচেও বেথ মুনি ফিট হয়ে মাঠে নামতে পারেননি। গুজরাতের ওপেনিং পার্টনারশিপ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র আট রানে ফেরেন মেঘনা, ২২ রানে ভাঙে ওপেনিং পার্টনারশিপ। তবে আরেক ওপেনার সোফিয়া ডাঙ্কলি (Sophia Dunkley) বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন। তিনি মাত্র ১৮ বলে এই ডব্লিউপিএলের এখনও পর্যন্ত দ্রততম অর্ধশতরানটি হাঁকান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন হরলীন দেওল। দুইজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন। সোফিয়ার বিধ্বংসী ইনিংস থামান শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। ২৮ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় সোফিয়াকে।
সোফিয়া আউট হওয়ার পর অবশ্য হরলীন ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ সারেন। তিনি শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন ৪৫ বলে ৬৭ রান করেন হরলীন। গুজরাত নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তোলে। হায়দার নাইট ও শ্রেয়াঙ্কা গুজরাতের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন। বড় রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি কিন্তু শুরুটা ভালই করেছিল। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান মান্ধানারা। তবে এদিনও আরসিবি অধিনায়ক মান্ধানা বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ১৮ রানে তাঁকে ফেরান অ্যাশলে গার্ডনার।
ডিভাইন-নাইটের লড়াই
তৃতীয় উইকেটে এলিস পেরি ও সোফি ডিভাইন (Sophie Devine) ৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন, বটে তবে ৩২ রানে পেরি আউট হওয়ার পর ডিভাইনকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। সোফি দীর্ঘক্ষণ লড়াই চালান। ৬৬ রানও করেন তিনি। শেষের দিকে হায়দার নাইট ১১ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আরসিবিকে জেতানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯০/৬ থামে আরসিবির ইনিংস। বল হাতে অ্যাশলে গার্ডনার তিন ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড গুজরাতের হয়ে দুইটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টেস্টে টস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?