নয়া দিল্লি : যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের তাবড় কুস্তিগিররা। এই আবহেই এবার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং। তাঁর বিরুদ্ধে একটাও অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি ফাঁসি বরণ করে নেবেন বলে জানালেন বিজেপি সাংসদ। আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যদি আপনাদের কাছে কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে আদালতে জমা দিন। তাতে আমি যে কোনও শাস্তি গ্রহণ করতে রাজি আছি।"


কুস্তিগিরদের ক্রমাগত আন্দোলনের মধ্যেই আজ দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কিছুক্ষণ পরেই আবার নতুন করে এর আপডেট দেয় দিল্লি পুলিশ। নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হিন্দিতে লেখে, কিছু সংবাদ মাধ্যম এমন খবর সম্প্রচার করছে যে, মহিলা কুস্তিগিরদের এই মামলায় পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে। এই খবরটা সম্পূর্ণ ভুল। মামলাটি এখনও তদন্তসাপেক্ষ। সম্পূর্ণ তদন্তের পর আদালতে যথার্থ রিপোর্ট জমা করা হবে। 


 






কিন্তু, কেন দিল্লি পুলিশকে অবস্থান বর্ণনা করতে হল ?


কারণ, দিল্লি পুলিশের কোনও এক অফিসার কিছু সংবাদ মাধ্যমকে বিবৃতি দিয়েছেন, মহিলা কুস্তিগিররা যে অভিযোগ তুলেছেন তাতে পর্যাপ্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বা, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা ব্যবহার করে প্রভাবশালী ওই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায়। পুলিশ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে।


অফিসার নাকি বলেন, এখনও পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে, সেই অনুযায়ী WFI প্রধানকে গ্রেফতার করার পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। তাছাড়া কুস্তিগিরদের অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট অথবা ফাইনাল রিপোর্ট জমা করা হতে পারে। 


চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদকজয়ী বিনেশ ফোগট। তাঁদের অভিযোগ, WFI প্রধান একাধিক মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন হেনস্থা করেছেন। ঘটনায় নাটকীয় পটপরিবর্তন দেখা যায় গতকাল। যখন পদকজয়ী তথা আন্দোলনকারী কুস্তিগিররা হরিদ্বারের গঙ্গায় নিজেদের পদক ভাসিয়ে দিতে যান। কারণ, অভিযুক্ত ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও, কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েত এবং অন্য কৃষক নেতাদের কথায় তাঁরা সেই কাজ থেকে বিরত থাকেন। তাঁরা কুস্তিগিরদের কাছে সমস্যার সুরাহার জন্য পাঁচ দিন সময় চেয়ে নেন।