কোয়েম্বাটুর: দলীপ ট্রফির ফাইনালে (Duleep Trophy Final) প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েও তা কাজে এল না দক্ষিণাঞ্চলের। ২৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে হারতেই হল হনুমা বিহারীর নেতৃত্বাধীন দক্ষিণাঞ্চলকে। ম্যাচের পঞ্চম দিনে মধ্য়াহ্নভোজের আগেই দক্ষিণাঞ্চলকে অল আউট করে ২০২২ সালের দলীপ ট্রফির খেতাব জিতে নিল অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাঞ্চল।


জশস্বীর দ্বিশতরান


প্রথম ইনিংসে রাহানের কেকেআর সতীর্থ বাবা ইন্দ্রজিৎ-র ১১৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫৭ রানের লিড পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। তবে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ভুলে দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেন জশস্বী জয়সবাল (Yashasvi Jaiswal)। ৩২৩ বলে ২৬৫ রানের এক অনবদ্য আগ্রাসী ইনিংস খেলেন মুম্বইয়ের তারকা। তাঁর পাশাপাশি আরেক মুম্বই তারকা সরফরাজ খানও শতরান হাঁকান। তিনি ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে দুই রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন তিনি। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৭১ রান। এই চারজনের ব্যাটে ভর করেই চার উইকেটের ৫৮৫ রান তোলে পশ্চিমাঞ্চল।


জয়ের জন্য ৫২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সামনে। এত বড় রান তাড়া করার জন্য দলের ওপেনারদের একটা মজবুত ভিত গড়ে দেওয়াটা খুবই জরুরি ছিল। তবে ময়ঙ্ক আগরওয়াল (৯) এবং হুনমার (১) মতো দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অল্পরানেই সাজঘরে ফেরায় চাপ বাড়ে। ইন্দ্রজিৎ (৪), মণীশ পাণ্ডেরাও (১৪) ব্যর্থ হন। ওপেনার রোহন ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন বটে। তবে চতুর্থ দিনের শেষে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রানে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে সরাসরি ম্যাচ জিতে নেওয়াটা কার্যত অসম্ভবই ছিল। 


রবি তেজার লড়াই


প্রথম ইনিংসে লিড থাকায় ম্যাচ ড্র করলেই অবশ্য খেতাব জিতে নিতে পারত দক্ষিণাঞ্চল। সেই লক্ষ্যে ম্যাচের শেষদিনে রবি তেজা এবং সাই কিশোর বেশ খানিকটা সময় লড়াই করেন বটে। রবি তেজা ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। তবে তাতে লাভের লাভ খুব একটা হয়নি। ২৩৪ রানেই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস। শেষদিনে তিন উইকেটসহ, দ্বিতীয় ইনিংসে মোট চার উইকেট নেন শামস মুলানি। জয়দেব উনাদকাট ও অতীত শেঠ দুইটি করে উইকেট নেন। নিজের অনবদ্য দ্বিশতরানের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন জশস্বী। ৫০ রানের পাশাপাশি ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন উনাদকাট।


আরও পড়ুন: ফের মাঁকড়িং বিতর্ক, ইংল্য়ান্ড ব্যাটারকে ফিরিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে দীপ্তি শর্মা