রাজকোট: দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের জয়ের নেপথ্যে ছিলেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন টেস্টে। অ্যান্ডারসন, রেহান, হার্টলিদের বলেন বিরুদ্ধে মারকাটারি মেজাজে দেখা গিয়েছিল যশস্বী জয়সওয়ালকে। এবার তরুণ ভারতীয় ওপেনারের প্রশংসা শোনা গেল মাইকেল ভনের গলায়। সিরিজের বাকি ৩ ম্যাচেও ভারতীয় ওপেনার বারবার স্টোকস বাহিনীকে সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক।
এক পডকাস্টে ভন বলেছেন, "আমার মনে হয় ইংল্যান্ড দলের সমস্যা বাড়াবে জয়সওয়াল। দুর্দান্ত ছেলে। দারুণ প্লেয়ার। গত বছর আইপিএলে আমার সঙ্গে ওর দেখা হয়েছিল। পরের দিনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজের আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিল ও। এবার টেস্টেও ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলল। তাও বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে।"
উল্লেখ্য, তৃতীয় সবচেয়ে কম বয়সি ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্টে দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন জয়সওয়াল। ২২ বছর ৩৭ দিন বয়সে বিশাখাপত্তনমে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২১ বছর ৩৫ দিন বয়সে ২২৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর। ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২১ বছর ২৮৩ দিন বয়সে ২২০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটল মাস্টার।
নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে বিশাখাপত্তনমে ম্যাচের সময় জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, "আমি এক এক সেশন ধরে এগোতে চেয়েছিলাম। ওরা যে সময় ভাল বল করছিল, সেই সময় ক্রিজ আঁকড়ে ধরে আমি টিকে থাকার পরিকল্পনায় ছিলাম। শুরুর দিকে পিচটা স্যাঁতস্যাঁতে ছিল এবং বল সিম হওয়ার পাশাপাশি স্পিন এবং বাউন্স হচ্ছিল। তবে আমি শেষ অবধি টিকে থাকতে চেয়েছিলাম এবং শুধু খারাপ বলগুলির বিরুদ্ধে রান করার তাক করছিলাম।"
এদিকে, ভারত-ইংল্যান্ড (India England Match) পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের (Test Series) বাকি তিন ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করল বিসিসিআই (BCCI)। তবে আগের দুই টেস্টের মতো আগামী ৩ টেস্টেও নাম নেই বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। ব্যক্তিগত কারণ জানিয়েই সরেছেন বিরাট, তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েই ভারতীয় শিবির থেকে বাদ রাখা হয়েছে, এমনটাই জানান হয়েছে বিসিসিআই-এর তরফে। এবার বরং রোহিত শিবিরে জায়গা করে নিলেন বাংলার এক পেসার।
ভারতীয় এ দলের হয়ে এর আগে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন বাংলার পেসার আকাশ দীপ। বিসিসিআই এর তালিকায় এবার রয়েছে তাঁর নামও। মুকেশ কুমারের পরে বাংলার আরও এক পেসার ঢুকে পড়লেন টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট স্কোয়াডে।