নয়াদিল্লি: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য যশপাল শর্মা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
১৯৫৪ সালের ১১ অগাস্ট পঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম হয় যশপালের। সাত ও আটের দশকে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের ভরসা ছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
১৯৭২ সালে পঞ্জাব স্কুলস দলের হয়ে জম্মু ও কাশ্মীর স্কুলস দলের বিরুদ্ধে ২৬০ রান করে নজর কেড়ে নেন যশপাল। এই ইনিংস খেলার দু’বছরের মধ্যে তিনি রাজ্য দলে সুযোগ পেয়ে যান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতেও খেলার সুযোগ পান তিনি। সেবার তাঁদের দলই এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর দলীপ ট্রফিতে চন্দ্রশেখর, এরাপল্লী প্রসন্ন, বেঙ্কটরাঘবন সমৃদ্ধ দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে ১৭৩ রান করে চমক দেন যশপাল। পরের মরসুমে ইরানি ট্রফিতে ৯৯ রানের ইনিংস খেলার সুবাদে পাকিস্তান সফরের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। সেবার তিনি দু’টি একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। পরের বছর ইংল্যান্ড সফরেও সুযোগ পান তিনি। ১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলে ছিলেন তিনি। তবে সেবার একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। বিশ্বকাপের পরে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর।
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে খেলেন যশপাল। ১৯৭৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় তাঁর। শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ১৯৮৫ সালের ২৭ জানুুয়ারি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ১৯৭৯ সালের ২ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় যশপালের। ১৯৮৩ সালের ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্টই এই ফর্ম্যাটে তাঁর জীবনের শেষ ম্যাচ।
ভারতের হয়ে ৩৭ টেস্টে ১,৬০৬ রান করেন যশপাল। তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৩.৪৫। দু’টি শতরান এবং ৯টি অর্ধশতরান করেন তিনি। সর্বোচ্চ স্কোর ১৪০।
৪২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ২৮.৪৮ গড়ে ৮৮৩ রান করেন যশপাল। তিনি চারটি অর্ধশতরান করেন। সর্বোচ্চ স্কোর ৮৯।
রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানা ও রেলওয়েজের হয়ে খেলতেন যশপাল। তিনি ১৬০টি ম্যাচ খেলে ৮,৯৩৩ রান করেন। রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর শতরানের সংখ্যা ২১। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ২০১।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বিসিসিআই, পঞ্জাব ও হরিয়ানা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যশপাল। তাঁকে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।