নয়া দিল্লি : নতুন বছরেই ভারতের কয়েকটি নির্দিষ্ট শহরে আসতে চলেছে ৫জি টেলিকম পরিষেবা। এই তালিকায় রয়েছে- কলকাতা(Kolkata), দিল্লি(Delhi), মুম্বই(Mumbai), চণ্ডীগড়, বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রাম, জামনগর, আহমদাবাদ, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, লখনৌ, পুণে এবং গাঁধীনগর।


শীর্ষস্থানীয় টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া- এই শহরগুলিতে ৫জি ট্রায়াল সাইটগুলি প্রতিষ্ঠা করেছে। সোমবার টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ জানায়, "এই মেট্রো এবং বড় শহরগুলি পরের বছর দেশে ৫জি পরিষেবা চালুর প্রথম স্থান হয়ে উঠবে।"


আরও পড়ুন ; নতুন বছরেই 5G প্রযুক্তি, জেনে নিন কীভাবে বদলে যাবে জীবন


5g নেটওয়ার্ক আসলে কী ?


আগামী সময় ফিফথ জেনারেশন বা 5G-র। এই প্রযুক্তি 4G নেটওয়ার্কের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। 4G নেটওয়ার্কে যেখানে ইন্টারনেটের গড় গতি 45 Mbps। সেখানে 5G নেটওয়ার্কে এই গতি বেড়ে 1000 Mbps হবে। যার ফলে ইন্টারনেটের জগৎ পুরোপুরি বদলে যাবে। এর অর্থ 4G-র থেকে 10 থেকে 20 গুণ দ্রুত ডেটা ডাউনলোডের গতি হবে 5G-র । যেখানে 4G নেটওয়ার্কে একটি সিনেমা ডাউনলোড করতে ছয় মিনিট সময় নেয়, সেখানে 5G নেটওয়ার্কে এটি ডাউনলোড করতে 20 সেকেন্ড সময় লাগবে। 


সরকারি প্যানেলের রিপোর্ট বলছে, 5G 2035 সালের মধ্যে ভারতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক পরিসর বৃদ্ধি করবে। এরিকসনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে 5G 2026 সালের মধ্যে $27 বিলিয়নের বেশি রেভিনিউ দেবে। এরিকসনের আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, 2026 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী 3.5 বিলিয়ন 5G সংযোগ থাকবে, যেখানে ভারতে এই কানেকশনের সংখ্যা হবে 350 মিলিয়ন।   


কোন এলাকা 5G দ্বারা প্রভাবিত হবে ?


যেকোনও জায়গা থেকে কাজ করুন: করোনার সংক্রমণের পর থেকে এখনও অনেক কোম্পানি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে। 5G প্রযুক্তি আসার পর এই পরিষেবার প্রসার ঘটবে। হাইব্রিড কাজের সংস্কৃতি আরও বাড়বে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (AI)-এর সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক কাজ করা সম্ভব হবে। যার ফলে কর্মীরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হবেন।