Apple Self Repair Program: অ্যাপেল সংস্থার সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রামে (Apple Self Repair Program) বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। সম্প্রতি একটি ব্লগ পোস্টে তেমনই বার্তা দিয়েছে অ্যাপেল (Apple) কর্তৃপক্ষ। অ্যাপেলের এই নিজস্ব রিপেয়ার প্রোগ্রামে এবার থেকে ইউজারদের একটি বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ব্যবহার হয়ে যাওয়া পার্টস (Genuine Used Parts) বা যন্ত্রাংশের সাহায্যে আইফোনের কোনও সমস্যা মেরামতের সুযোগ পাবেন অ্যাপেল ইউজাররা (Apple Users)। একজন আইফোন ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য গ্রাহকদের এই অতিরিক্ত সুবিধা দিতে চলেছে অ্যাপেল সংস্থা। 


ঠিক কী করতে চলেছে অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ 


অ্যাপেল সংস্থা ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের রিপেয়ার পদ্ধতিকে বিস্তৃত করার মাধ্যমে স্বাধীন রিপেয়ার প্রোভাইডার এবং গ্রাহকদের জেনুইন ইউজড আইফোন পার্টস ইনস্টল করার সুবিধা দেবে। এর মাধ্যমে আইফোন মেরামতের সুযোগ পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আইফোনের ব্যবহার হয়ে যাওয়া অংশের জেনুইনিটি বা জিনিসগুলো একদম খাঁটি কিংবা সঠিক কিনা এবং নির্দিষ্ট ডিভাইস মেরামতের জন্য প্রযোজ্য কিনা - সেই বিষয়েই বেশি জোর দিয়েছে অ্যাপেল সংস্থা। বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রামও শুরু করেছে অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ। সেখানে ইউজাররা ব্যবহার হওয়া আইফোনের অংশ অন্য আইফোন মডেল মেরামতের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। রিপেয়ার পার্টস অর্ডার করার প্রক্রিয়াও যতটা সম্ভব সহজ, সরল রাখতে চাইছে অ্যাপেল সংস্থা। 


অ্যাপেলের নতুন পরিষেবায় কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন গ্রাহকরা 


অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জানিয়েছে একটি নতুন পদ্ধতির কথা যার নাম calibrating, এর মাধ্যমে আইফোনে থাকা অংশবিশেষের সাহায্যে স্বাধীন রিপেয়ার প্রোভাইডারের পাশাপাশি ক্রেতারাও নিজেদের আইফোন ঠিক করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৩০টি দেশে উপলব্ধ অ্যাপেলের সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রামের উপর বিশ্বাস করতে হবে। সোজা ভাষায় বললে আগের আইফোনে ব্যবহার হওয়া যন্ত্রাংশ পুনরায় নতুন আইফোন মডেলে ব্যবহার করে ফোন মেরামতের করা হবে অ্যাপের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে। চলতি বছরের শেষের দিকে নির্দিষ্ট আইফোন মডেলের ক্ষেত্রে ইউজারদের জন্য অ্যাপেলের নতুন পরিষেবা উপলব্ধ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। 


অ্যাপেলের সেলফ রিপেয়ার প্রোগ্রামে জেনুইন ইউজড পার্টস কীভাবে ব্যবহার করা হবে 


যখন অন্য একটি ডিভাইস থেকে, এক্ষেত্রে আইফোন, কোনও খাঁটি অংশ আর একটি আইফোনে ইনস্টল হয়ে যাবে তখন শুরু হবে calibration প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইফোনে ইনস্টল হওয়া অন্য আইফোনের ব্যবহৃত অংশ সমস্ত রকমের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা দেবে। মূল ডিভাইসে যেভাবে সুবিধা পাওয়া গিয়েছে, এক্ষেত্রেও তাই হবে। অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে যে আগামী দিনে গ্রাহকরা বিভিন্ন বায়োমেট্রিক সেনসর যেমন ফেস আইডি এবং টাচ আইডি- এইসব কম্পোনেন্টও বদলে ফেলার সুযোগ পাবেন। আপাতত ডিসপ্লে, ব্যাটারি এবং ক্যামেরার ক্ষেত্রে এই পরিষেবার সুবিধা চালু হতে চলেছে। 


পার্টস পেয়ারিং 


এই পদ্ধতির মাধ্যমে আইফোনে যে সমস্ত কম্পোনেন্ট যুক্ত হবে সেগুলি সত্যিই ঠিকঠাক (জেনুইন) কিনা তা বোঝা যাবে। কারণ প্রকৃত অংশ না হলে ফোন এবং ইউজারের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। এই পদ্ধতি একটু জটিল অবশ্যই। তবে এটা ফলপ্রসূ হবে, এ ব্যাপারে আশাবাদী অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সহজ ভাষায় যা বোঝা গিয়েছে যে, আইফোনের কোনও সমস্যা দূর করার জন্য অন্য আইফোনে ব্যবহার হওয়া যন্ত্রাংশ পুনরায় নতুন আইফোন মডেলে ব্যবহার করে সুরাহা মিলবে। 


অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে আইফোনের জন্য অ্যাক্টিভেশন লক ফিচারের সুবিধাও বৃদ্ধি করবে তারা। তার ফলে চুরি হয়ে যাওয়া আইফোনের অংশ মেরামতের কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি রুখে দেওয়া সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি কোনও গ্রাহক চাইলে অ্যাপেলের সেলফ সার্ভিস রিপেয়ার স্টোর থেকে প্রয়োজনীয় পার্টস বা অংশ (আগের আইফোনে ব্যবহার হয়ে যাওয়া) কিনতে পারবেন নিজের ডিভাইসের সিরিয়াল নম্বর না জানিয়ে। এরপর কিনে নেওয়া ওই যন্ত্রাংশ আদৌ তাঁর ডিভাইস মেরামতের কাজে ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা দেখে নেওয়া যাবে আইওএস সেটিংস অ্যাপের পার্টস অ্যান্ড সার্ভিস হিস্ট্রি সেকশনে গিয়ে। 


আরও পড়ুন- ভারতে লঞ্চ হয়েছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো ৫জি এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো প্লাস ৫জি, দাম কত? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।