Bharti Airtel: অসদুপায়ে টাকা কাটছে এয়ারটেল। ২৮ দিনের বৈধতা সহ রিচার্জ করলেও, সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই সংযোগ (Airtel) বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং গ্রাহককে মেসেজে বলা হচ্ছে যে তার রিচার্জের (Airtel Recharge) মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনাতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওড়িশার এক গ্রাহক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারটেল সংস্থাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ওড়িশার নয়াগড়ের ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন ভারতী এয়ারটেলের সিইও গোপাল ভিত্তলকে অসৎ বাণিজ্যিক অভ্যাসের কারণে এবং গ্রাহককে হেনস্থা করার কারণে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওড়িশার গোপালপুরের বাসিন্দা অমাভঞ্জন মিশ্রের অভিযোগের জেরেই এই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

ভারতী এয়ারটেলের সিইও ভিত্তলকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী একইসঙ্গে সেই গ্রাহককে ৩৬ দিনের বৈধতার আনলিমিটেড টকটাইম রিচার্জ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের পক্ষ থেকে তাও বিনামূল্যে। এছাড়াও মামলার খরচ হিসেবে এয়ারটেলকে দিতে হবে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা।

গ্রাহক অমাভঞ্জন মিশ্র তার অভিযোগে জানিয়েছেন ২০২২ সালের ১৭ জুন তারিখে। আর এই অভিযোগে তিনি বলেন যে এয়ারটেল তার থেকে প্রতি মাসেই বৈধতার থেকে একদিন করে কমিয়ে দিচ্ছিল। অর্থাৎ তিনি ২৮ দিনের বৈধতার রিচার্জ করলেও সেই মেয়াদ শেষের একদিন আগেই মেসেজে তাঁকে জানানো হত যে তার রিচার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই অভিযোগের সপক্ষে গ্রাহক অমাভঞ্জন মিশ্র এয়ারটেলের পক্ষ থেকে পাঠানো সমস্ত মেসেজ দাখিল করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মেয়াদ শেশের আগেই রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে তাঁকে। আর সেই প্যাকের রিচার্জ না করার জন্য কল করার সুবিধে দেওয়া হত না তাঁকে।

কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'সংস্থার পক্ষ থেকে গোপন পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করা হয়েছে, আর এভাবেই সেই গ্রাহককে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আর যেহেতু গ্রাহক প্রথম পর্বে এই বিষয়ে লক্ষ্য করেননি তাই সেই সুযোগ নিয়েছে সংস্থা। এমনকী রিচার্জ করার পরেও গ্রাহকের ফোনে মেসেজ দেওয়া হয় যে রিচার্জ করা হয়নি। ফলে এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অসৎ বাণিজ্যিক অভ্যাস যা অভিযোগকারী গ্রাহককে হেনস্থা করা হয়েছে।'

আরও পড়ুন: Bitcoin Crash: ২৫ শতাংশ ধস বিটকয়েনের দামে, ক্রিপ্টোর বাজার থেকে উধাও ১০ হাজার কোটি ডলার !