Twitter: আর কর্মী ছাঁটাই হবে না ট্যুইটারে (Twitter)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন খোদ ইলন মাস্ক (Elon Musk)। এর পাশাপাশি ট্যুইটারের নতুন মালিক জানিয়েছেন যে এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এবার নতুন করে নিয়োগ হবে। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তারপর থেকেই ব্যাপক হারে চলছে কর্মী ছাঁটাই। গত একমাসে ট্যুইটারের ৭৫০০ কর্মীর অন্তত দুই তৃতীয়াংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। পরিসংখ্যান অনুসারে তিনি ট্যুইটারে যুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরপর গত সপ্তাহে কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, আরও বেশি সময় ধরে এবং মনযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় সংস্থা ছেড়ে যেতে পারেন কর্মীরা। ইলন মাস্কের এই হুঁশিয়ারি পাওয়ার পর প্রায় ১০০০ কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন।


শোনা গিয়েছে, ট্যুইটারের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সেলস বিভাগে নতুন করে নিয়োগ করা হবে। সোমবার নতুন করে মিটিংও করেছেন ইলন মাস্ক। সেখানে তিনি এও জানিয়েছেন যে ট্যুইটারের হেড কোয়ার্টার সান ফ্রান্সিকো থেকে সরিয়ে টেক্সাসে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই ভভাবে টেসলার হেড কোয়ার্টারও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ট্যুইটারের ক্ষেত্রে দুটো হেড কোয়ার্টারও থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি হতে পারে টেক্সাসে। তবে এই প্রসঙ্গে বিশদে কিছু জানাননি ইলন মাস্ক। তবে এই কিছুর মধ্যেও সোমবার ট্যুইটারের সেলস বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক।


সম্প্রতি ট্যুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। ২০২১ সালে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ট্যুইটার থেকে। তবে ইলন মাস্ক ট্যুইটারের নতুন মালিক হওয়ার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে এনেছিলেন, অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ট্যুইটারে ফিরতে চান না। এখন ট্যুইটারে ফেরার আর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ইউএস ক্যাপিটালের সংঘর্ষ সম্পর্কে আপত্তিজনক ট্যুইট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়েই তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। প্রায় ২ বছরের মাথায় এই অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যান তুলে নিয়ে তা ফিরিয়ে এনেছিলেন ইলন মাস্ক। কিন্তু ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন যে ট্যুইটারে তিনি আর ফিরতে চান না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ট্যুইটারে একটি পোল করেছিলেন জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের নয়া সিইও। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল ট্যুইটারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফেরানো উচিত, নাকি নয়। সেই ট্যুইটার পোলে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ইউজার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। 


আরও পড়ুন- দেখা যাবে দু'দিক থেকেই, এই ট্রান্সপারেন্ট স্মার্টফোন নজর কাড়বে বিশ্বর