Unknow Number Phonecall: আপনার ফোনে কি মাঝে মাঝেই অজানা, অচেনা নম্বর থেকে ফোন (Unknown Phone Call) আসছে? তাহলে সতর্ক থাকুন। এইসব অজানা, অচেনা নম্বর থেকে ফোন সাধারণ ফোনকল হিসেবেও আসতে পারে। কিংবা আসতে পারে হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp)। ভিডিও বা অডিও কল হিসেবে। এমনকি আসতে পারে মেসেজও। কয়েক মাস আগে ট্যুইটারে ইউজাররা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে +84, +62, +60 - এই জাতীয় আন্তর্জাতিক নম্বর (International Numbers) থেকে ফোন আসছে তাদের কাছে। একবার, দু'বার নয় বারবার। একদিন ফোন আসার পর হয়তো দু'দিন বন্ধ থাকছে, তারপর আবার ফোন আসতে শুরু করছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই জাতীয় নম্বর থেকে ফোন আসার মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। ISD কোড অনুসারে জানা গিয়েছিল এইসব ফোন আসছে মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ভিয়েতনাম এবং ইথিওপিয়া থেকে। বিশেষ করে যাঁরা নতুন সিম কিনেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই জাতীয় ফোন আসার প্রবণতা বেশি। এখনও পর্যন্ত এই জাতীয় ফোন কেন আসছে তার কার স্পষ্ট নয়। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য ফোনের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া এবং তাঁদের আর্থিক প্রতারণার শিকার বানানোর জন্যই এইসব ফোন করা হচ্ছে। 


ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে এই জাতীয় অজানা, অচেনা নম্বর থেকে বারবার ফোন এলে সতর্ক থাকতে কী কী করবেন?



  • এই জাতীয় আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে আসা ফোন বা মেসেজের জবাব না দেওয়াই মঙ্গলের।

  • সবার আগে এইসব নম্বর ব্লক করতে হবে মোবাইল ফোন থেকে। 

  • একান্তই এই জাতীয় ফোনের মাধ্যমে সমস্যা পড়লে অবিলম্বে সাইবার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এওয়া প্রয়োজন।

  • ফোনের সেটিংস বা হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে এই জাতীয় আন্তর্জাতিক নম্বর ব্লক করে দেওয়ার সুযোগ থাকছে।


পাবলিক চার্জিং পোর্টের মাধ্যমেও ইউজারদের শিকার বানাচ্ছে হ্যাকাররা


পাবলিক চার্জিং পোর্টের সাহায্যে ইউজারদের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। আজকাল স্মার্টফোনে প্রচুর তথ্য সঞ্চিত থাকে। আর সেই ডিভাইসের অ্যাকসেস একবার হ্যাকারদের হাতে চলে এলে সর্বনাশ হতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এই পদ্ধতিতে প্রতারণার জাল বিস্তার করছে হ্যাকাররা। প্রতারণার এই নয়া কৌশলের নাম Juice Jacking। এটি এক ধরনের সাইবার অ্যাটাক যেখানে হ্যাকার বা স্ক্যামাররা পাবলিক প্লেসে ভুয়ো চার্জিং স্টেশন তৈরি করে। এইসব চার্জিং স্টেশন এমনভাবেই ডিজাইন করা হয় যাতে কোনও ডিভাইস প্লাগ-ইন করা হলেই তার মধ্যে থাকা সেনসিটিভ তথ্য চুপিসাড়ে হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। ভুয়ো চার্জিং পয়েন্টে কেউ নিজের ডিভাইস প্লাগ-ইন করলে স্ক্যামাররা ওই ডিভাইসের অ্যাকসেস পেয়ে যায়। তারপর পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডে বিস্তারিত তথ্য, অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পর্ব শুরু হয়। অনেকসময় ইউজারের ডিভাইসে ম্যালওয়্যার সেট করেও দেওয়া হয়। এর ফলে ওই ডিভাইসের পুরো অ্যাকসেস এবং নিয়ন্ত্রণ চলে আসে হ্যাকারদের হাতে। 


আরও পড়ুন- ট্যুইটার থেকে আয়ের সুযোগ পাবেন ক্রিয়েটররা, পূরণ করতে হবে কোন কোন শর্ত?